মালামালের ভিড়ে ডিকিতে স্থান পাওয়া সেই মেয়েটি
কাজ শেষে করে বাসায় ফিরছিলাম। রাস্তায় অনেক জ্যাম, হঠাৎ জানালা দিয়ে বাইরে চোখ গেল। দেখলাম একটা বাচ্চা মেয়ে পেছনের বেকডালার শাটার খুলে মুখ বের করে বসে আছে।
মেয়েটি বসে ছিল অনেক মালামাল এর মাঝে ছোট একটু জায়গায়। দেখে মনে হলো সে কাজের মেয়ে। তাই তার স্থান হয়েছে ডিকিতে।
নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমার গাড়ির ড্রাইভার ভাইকে বললাম সামনে যেতে।
যা ভেবেছিলাম ঠিক তাই।
মাঝখানের সিটে একজন ভদ্রলোক পায়ের উপর পা তোলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন এবং সামনে ড্রাইভার এর সাথের সিটও ছিল ফাঁকা।
তবুও এই ছোট মেয়েটির জায়গা মিলল না কোন একটা সিটে।
লোকটাকে নেমে জিজ্ঞাস করলাম ভাই আপনি এমন ভাবে মেয়েটিকে শাস্তি দিচ্ছেন কেন?
সে উত্তরে বলল আমার ব্যাপারে আপনার নাক গলাতে হবে না! আপনি আপনার কাজ করেন। আমার ওপর ক্ষেপে গেলেন সে লোক।
সভ্য সমাজের দাবি করা আমরা এখনও অসভ্যর মত আচরণ করছি। দাস প্রথা হয়তবা বই-পুস্তক থেকে হারিয়ে গেছে কিন্তু এখনও হারায়নি কিছু শ্রেণির মানুষের মন থেকে।
কাজের মেয়ে বলে তার মত আরও হাজারো মেয়েকে এই রকম মালামালের ভিড়ে ছোট একটি ঘিঞ্জি জায়গায় কষ্ট করে বসে থাকতে হয়।
আসুন না দেশকে ভালোবাসি পাশাপাশি দেশের মানুষগুলো কে ভালোবাসি।
লেখিকা: প্রভাষক, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ