‘সিনেমা দেখার পর রেশটা যেন মনে গেঁথে থাকে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ জুলাই ২০১৭, ২২:১২

চলচ্চিত্রে দক্ষ স্ত্রিপ্ট রাইটার প্রয়োজন, এজন্য এদিকে সাহিত্যিক, শিল্পীদের মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সিনেমা দেখার পর সেটার রেশ যেন মনে গেঁথে থাকে। রেশটা নিয়ে যেন ঘরে যাওয়া যায়। সেই চিন্তা মাথায় রেখে স্ক্রিপ তৈরি করতে হবে। স্ক্রিপ্টটা কতটা দক্ষতার সঙ্গে প্রস্তুত করা হলো সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। রেশটা যেন মনের ভেতর অনুরণিত হয় সেই অনুরণটা যেন উপলব্ধি করা যায়। সেই চিন্তাটা মাথায় রেখেই একটা স্ক্রিপ্ট ও চলচ্চিত্র তৈরি করা।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণের দরকার আছে, অনেক শিক্ষার প্রয়োজন আছে। আশা করি চলচ্চিত্রে যারা জড়িত এ ব্যাপারটা ভালোভাবে দেখবেন।’

সিনেমা হল আধুনিকায়নের জন্য ট্যাক্স হলিডে দেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই দর্শক যেন সিনেমা হলে আসে। সে জন্য দরকার হলে যারা হল নির্মাণ করতে চান, যারা সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করতে চান তাদের প্রয়োজন হলে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সব সময় শিল্প সংস্কৃতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের এই অঞ্চলে বাংলাতেই প্রথম সিনেমা শিল্প গড়ে ওঠে। আমরা এখন দেখি বম্বে বা অন্যান্য জায়গায়, তারাই এখন উপরে। কিন্তু সিনেমা শিল্পটা এ বাংলার মাটি থেকেই হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন,. ১৮৫৮ সালে মানিকগঞ্জের সন্তান হিরালাল সেন চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শনের সূচনা করেন। এজন্য তার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) আধুনিকায়ন কাজ শেষ পর্যায়ে জানিযে তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে বিএফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। সাভারে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি গড়ে তোলা হবে, যে জায়গাটি জাতির জনকই দিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিকমানের ফিল্ম সিটি হবে এটা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক কাজ আমরা শুরু করি, কিন্তু আমরা ক্ষমতায় যখন থাকি না তখন তা বন্ধ হয়ে যায়। কারণ আমরা তো পাঁচ বছর মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে আসি। জনগণ ভোট দিলে আবার ফিরে আসি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাতাদের দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে তুলে ধরতে হবে। আমরা চাই যারা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তারা আরও উন্নতমানের এমন সিনেমা করবেন, যা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি সবকিছু যেন ধারণ করতে পারে এবং পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবেও আমাদের এই শিল্পটা যাতে আরও মর্যাদা অর্জন করতে পারে। এজন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় চলচ্চিত্রের কলা-কুশলিদের দুঃসময়ে সহায়তার জন্য ট্রাস্ট ফান্ডটিকে আরও উন্নত করারও তাগিদ দেন।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/জেআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :