ফরাসউদ্দিনের বিরুদ্ধে সাবেক সহকর্মীর অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ জুলাই ২০১৭, ১৮:৪২ | প্রকাশিত : ২৫ জুলাই ২০১৭, ১৭:৩৩

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও বর্তমানে ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর ফরাসউদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তারই এক সাবেক সহকর্মী। তার অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে মাত্র চার বছর থাকার নিয়ম থাকলেও ফরাসউদ্দিন ১৪ বছর ধরে এ পদ দখল করে আছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন ইস্টওয়েস্টের অধ্যাপক মোসলেহ উদ্দিন।

যোগাযোগ করা হলে ফরাসউদ্দিন জানান, অভিযোগকারী মোসলেহ উদ্দিন তার বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন। তার অভিযোগের সত্যতা নিয়ে জনগণ ভালোই জানে।

মোসলেহউদ্দিনের অভিযোগ, ফরাসউদ্দিনের অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করায় গত বছর ২৬ এপ্রিল অন্যায়ভাবে প্রগতি ফাউন্ডেশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর মিটিং পরিচালনা করে তাকে বরখাস্ত করা হয়। এটা ওই ফাউন্ডেশনের বিধি অনুযায়ী অবৈধ।

মোসহেউদ্দিনের অভিযোগ, ওই অবৈধ মিটিংয়ের জন্য ফরাসউদ্দিন প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন যা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের পরিপন্থি।

মোসহেউদ্দিন জানান, গত বছর ১১ মে থেকে তার স্ত্রী হুমায়রা মোসলেহউদ্দিনকে পিএফইডি এবং ইডব্লিউইউ ট্রাস্ট্রের নমিনি নির্বাচিত করলেও তাকে কোন মিটিংয়ে আমন্ত্রণ করা হয় না। তার অভিযোগ, ফরাসউদ্দিন নিজেই নিজেকে ইডব্লিউইউ এর ভিজিটিং প্রফেসর নির্বাচিত করেছেন, যদিও বোর্ড তাকে শুধু অনারারি প্রফেসর হিসেবে নির্বাচন করেছিল।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ফরাসউদ্দিন একজনকে বেআইনিভাবে পরিসংখ্যানের অধ্যাপক নিয়োগ করেছেন যিনি সহকারী অধ্যাপক হওয়ার যোগ্যতাও রাখেন না।

মোসলেহ উদ্দিন বলেন, অর্থনীতি বিভাগের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষককে প্রতি মাসে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বেতন দেয়া হয়, যা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাক্টের পরিপন্থি। পার্ট-টাইম কাজ করেও তিনি ফুল-টাইমের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। অথচ অনেক সিনিয়র অধ্যাপক ও এই বেতন পান না।

মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ফরাসউদ্দিনের অনিয়মের প্রতিবাদ ও ন্যায়বিচার দাবি করে আসছেন। এসব অভিযোগ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, এলজিআরডি মন্ত্রী, ইউজিসির চেয়ারম্যান ও দুদক চেয়ারম্যানের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে।’

মোসলেহ উদ্দিন জানান, ২০০১ সালে ফরাসউদ্দিন বিএনপি সরকারকে খুশি করার উদ্দেশে তার নিজ কক্ষ, বোর্ড সভাকক্ষ এবং অন্যান্য সব কক্ষ থেকে কারো অনুমতি না নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়ে ফেলেন। ২০০৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হিসেবে তার অসংখ্য অন্যায় কাজের জন্য বাধ্য হয়ে ইস্তফা দেন। কিন্তু এখনও তিনি তার বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্তে কর্তৃত্ব করেন।

মোসলেহ উদ্দিনের এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফরাসউদ্দিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আদালতে একটি মামলা করেছেন আমাদের যা বলার সেখানেই বলব। জনগণ আমাদেরকে চিনে ওনাদেরকেও চেনে। ওনি এর আগেও দুইবার আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন।’

ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/এএ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :