২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: আসামি রতনের সাফাই সাক্ষ্য

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ জুলাই ২০১৭, ১৯:৩৪

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার সময় কারাগারে থাকা আসামি উজ্জল ওরফে রতন ঝিনাইদাহে থানা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলে দাবি করেছেন।

মঙ্গলবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ট্রাইব্যুনালে সাফাই সাক্ষ্যের জবানবন্দিতে তিনি এ দাবি করেন।

ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ আসামির সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের পর বুধবার পর্যন্ত সাফাই গ্রহণের জন্য মূলতবি করেন।

এর আগে আসামি রফিকুল ইসলাম সবুজের পক্ষে তার স্ত্রী হালিমা খাতুন সাদিয়ার সাফাই সাক্ষ্য শেষ হয়। গত সোমবার তিনি সাফাই সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। ওইদিন শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার অবশিষ্ট সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল।

এদিকে আসামি রতন সাফাই সাক্ষ্যে দাবি করেন, ২০০৪ সালের ১৯ আগস্ট তিনি নিজ এলাকায় ঝিনাইদায়ে অ্যাপেন্ডিসাইডের ব্যথা নিয়ে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। ঘটনার দিন তিনি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

এ নিয়ে মামলাটিতে পাঁচজন আসামির সাফাই সাক্ষ্য শেষ হলো। এর আগে গত ১২ জুন মামলাটিতে জামিনে ও কারাগারে থাকা ৩১ আসামির আত্মপক্ষ শুনানি শুরু হয়, যা গত ১১ জুলাই শেষ হয়।

আত্মপক্ষ শুনানিতে ৩১ আসামির সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। মামলাটিতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৮ জন আসামি পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ শুনানির সুযোগ পাননি।

এর আগে গত ৩০ মে মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পর এ আত্মপক্ষ শুনানি শুরু হয়।

মামলাটিতে ২০০৮ সালের ১১ জুন ২২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। ওই বছর ২৯ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। ২০০৯ সালের ৯ জুন পর্যন্ত ৬১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।

২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে অধিকতর তদন্তের নির্দশ দেয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। ২০১১ সালের ৩ জুলাই অধিকতর তদন্ত শেষে তারেক রহমাসসহ আরও ৩০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।

২০১২ সালের ১৮ মার্চ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সম্পূরক অভিযোগপত্রের ৩০ আসামির অভিযোগ গঠন করে ফের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

মামলাটিতে আসামি খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম জামিনে রয়েছেন।

অন্যদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে রয়েছে। মামলার আসামি জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এবং হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান ও শরিফ শাহেদুল ইসলাম বিপুলের ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের নির্মম মৃত্যু হয়। গ্রেনেডের স্পিন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েক শতাধিক। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও শ্রবনশক্তি হারান।

(ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/আরজে/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাউথ এশিয়ান ল' ইয়ার্স ফোরাম ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল চ্যাপ্টারের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন

আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় চট্টগ্রামের ডিসি এসপিসহ চার জনকে হাইকোর্টে তলব

১১ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি ২৯ জুলাই

২৮ দিন পর খুলল সুপ্রিম কোর্ট

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বোট ক্লাব কাণ্ড: প্রতিবেদন দিল পিবিআই, ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি?

ড. ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল

সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনা: আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :