‘প্রতিদিন আমাকে ধর্ষণ করা হত’ (ভিডিও)

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ জুলাই ২০১৭, ১৯:৫৬

জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট(আইএস) উত্তর ইরাক থেকে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের বহু লোককে ধরে নিয়ে গিয়েছিল ২০১৪ সালে।

যাদের ধরে নিয়ে যায় তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। বিশেষ করে অল্পবয়সী নারী। আইএসের জিহাদি যোদ্ধারা এই নারীদের আটকে রেখে তাদেরকে ব্যবহার করে আসছিল যৌনদাসী হিসেবে।

এদেরই একজন ১৭ বছর বয়সী এখলাস। যখন তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তার বয়স ছিল ১৪। তাকে রাখা হয়েছিলো মাউন্ট সিঞ্জারে।

কিশোরী এখলাস ছিল এক যোদ্ধার তত্ত্বাবধানে। তার সঙ্গেই থাকতে হতো তাকে। আইএসের এই যোদ্ধাটি যেখানে যেখানে যেত তাকেও তার সাথে সেখানে যেতে হত।

তিনি জানান, ছয় মাস ধরে জিহাদি যোদ্ধারা এই সিঞ্জার পর্বতে তাকে ব্যবহার করেছে যৌন কাজে।

সম্প্রতি তিনি আইএসের জিহাদিদের হাত থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন।

পালিয়ে আসার পর বিবিসিকে তিনি বলেছেন যে তাকে এই ছয় মাসের প্রতিদিন ধর্ষণ করা হয়েছে।

‘প্রতিদিন, প্রত্যেকটি দিন আমাকে সে ধর্ষণ করত। টানা ছয় মাস ধরে। এই দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্যে আমি আত্মহত্যাও করতে চেয়েছিলাম’- বলেন তিনি।

উত্তর ইরাকে ইয়াজিদি জাতিগোষ্ঠীর ওপর হামলা চালিয়ে আইএস যোদ্ধারা যখন নারীদের অপহরণ করে নিয়ে যায় তখন তারা তাদের পুরুষদের হত্যা করে মৃতদেহ পেছনে ফেলে রেখে যায়।

পিতা, স্বামী, ভাই ও সন্তানকে হারিয়ে তারা যখন শোকে ভেঙে পড়েছে তখন তাদেরকে ধর্ষণ করা হয় পালাক্রমে।

‘আমরা দেড়শ জনের মতো ছিলাম। আমাদের মধ্য থেকে সে আমাকেই বাছাই করে নিল। লোকটার মাথা ভর্তি ছিল লম্বা লম্বা চুল। জানোয়ারের মতো দেখতে। খুবই কুৎসিত।’

ধর্ষণকারী ওই জিহাদির বর্ণনা দিতে গিয়ে এখলাস জানান, তার শরীর থেকে সবসময় বোটকা দুর্গন্ধ আসতো।

তিনি বলেন, ‘আমি ভয়ে কুঁকড়ে থাকতাম। লোকটার দিকে তাকাতেও পারতাম না।’

তিনি জানান, প্রতিদিনই সেখান থেকে পালিয়ে আসার চেষ্টা করতেন। সবসময় অপেক্ষা করতেন এমন একটা সুযোগের।

একদিন যখন ধর্ষণকারী জিহাদি যুদ্ধ করতে একটু দূরে গেল সেদিনই তিনি সেই সুযোগটা কাজে লাগালেন। এবং পালিয়ে এলেন আইএসের হাত থেকে।পরে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় একটি শরণার্থী শিবিরে।

তিনি বলেন, ‘আপনারা হয়তো অবাক হচ্ছেন যে চোখের পানি না ফেলে আমি কিভাবে আপনাদেরকে এ রকম একটি জীবনের বর্ণনা দিচ্ছি! বিশ্বাস করুন আমার চোখের পানি শুকিয়ে গেছে।’

সাংবাদিকদেরকে তিনি যখন তার বন্দি জীবনের বর্ণনা দিচ্ছিলেন তখন হাসছিলেন তিনি। পরিহাসের হাসি।এখলাসকে এখন নিয়ে আসা হয়েছে জার্মানিতে। সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

হাসপাতালে থেকে পড়াশোনাও করছেন এখলাস। তার স্বপ্ন বড় হয়ে তিনি একজন আইনজীবী হবেন।

(ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/এসআই)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্বের ভোটগ্রহণ শেষ 

ইরানে হামলায় অংশ নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এখনই প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা নেই: ইরানি কর্মকর্তা

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়ার প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো

ইরানে হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কবার্তা দিয়েছিলো ইসরায়েল: মার্কিন কর্মকর্তা

পাকিস্তানের জাপানি নাগরিকদের গাড়ি লক্ষ্য করে আত্মঘাতি বোমা হামলা, হতাহত ৫

ইরানে প্রধান বিমানবন্দরে পুনরায় ফ্লাইট চালু

৩টি ইসরায়েলি ড্রোন ধ্বংস করল ইরান

ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :