‘এভাবে কি থাকা যায়?’
বৃষ্টিতে রাজধানীর মিরপুর-মোহাম্মদপুর এলাকার অনেক জায়গাই পানির নিচে। কোথাও কোথাও পানি জমেছে তিন থেকে চার ফুট। এতে নিচ তলার বাসিন্দারা আছেন বিপাকে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে বস্তিবাসী ও নিম্নআয়ের মানুষ যারা কাঁচা বা আধাপাকা ঘরে বসবাস করে।
মিরপুরের কালশী, লালকুটি ও শাহ আলী বাজার এলাকার মানুষ একেবারেই পানিবন্দী। ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই। বৃষ্টির জমা পানি ঢুকে পরেছে অনেক বাড়ির গ্যারেজে। পানি ঢুকেছে রিজার্ভ টাংকিতে। ফলে খাওয়া ও ব্যবহারের পানির তীব্র সংকটে মিরপুরবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা সিফাদ আরেফিন ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘বৃষ্টিতে হলেই এখানে পানি জমে। তার উপর বর্ষাকালেই সব খোঁড়াখুঁড়ি। অতিষ্ট হয়ে গেছি। এভাবে কি থাকা যায়?’।
প্রায় একই চিত্র রাজধানীর মোহাম্মদপুরের। তিন থেকে চার ফুটের জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে নিচু এলাকাগুলোতে। পানি ঢুকে গেছে বসতবাড়িতে। রান্না করতে পারছেন না গৃহিনীরা। বাড়ির ভেতরের পানি সেচের জন্য অনেক বাড়িতে লাগানো হয়েছে পানি সেচের পাম্প।
চলাচলের মাধ্যম রিকশা ও ভ্যানগাড়ি। ভাড়া স্বাভাবিকের তুলনায় চার থেকে পাঁচ গুণ ভাড়া গুনতে বাধ্য হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতে বিড়ম্বনায় পরেছেন মিসেস মোসারফ। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘২০ টাকার ভাড়া ৮০ টাকা দিলাম। সরকারের কোনো খেয়ালই নাই এইদিকে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বানাচ্ছে। একশ্রেণি মানুষকে পানিতে ডুবিয়ে, অন্য একশ্রেণিকে নিয়ে মাতামাতি করছে। আমরাও তো দেশের নাগরিক।’
স্থানীয় একজন বলেন, ‘মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খালটাই পানি জমার প্রধাণ কারণ। প্রতি বছর নাম মাত্র পরিস্কার করা হয়। কয়েকদিন আগেও তো পরিষ্কার করল। কিন্তু লাভ হলো কি? সেই আবার ময়লা। ময়লার জন্যই পানি যেতে সময় লাগে।’
স্থানীয়রা জানান, মোহাম্মদপুরের বুক চিড়ে বয়ে চলা রামচন্দ্রপুরে খালটি সব সময়ই ময়লার দখলে থাকে। ওয়াসার পক্ষ থেকে প্রতি বছর খালের ময়লা পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু স্থানীয়রা এই খালে ময়লা ফেলে নিয়মিত। তাই কমে গেছে খালের গভীরতা। আর পানি সড়কে পারছে না সেভাবে।
ঢাকাটাইমস/২৬ জুলাই/ কারই/ কেএস