চার শিশু হত্যা: রায় শুনে অজ্ঞান তিন মা
হবিগঞ্জের বাহুবলে চার শিশু হত্যা মামলার রায়ে সন্তুষ্ট নন নিহতদের স্বজনরা। মামলার সব আসামিরই ফাঁসির আশা করেছিলেন তারা। মামলার প্রধান আসামি আব্দুল আলী বাগালসহ তিনজন খালাস পাওয়ায় ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করছেন তারা। শুধু তাই নয়, এদিন রায় শুনে অজ্ঞান হয়ে পড়েন নিহত তিন শিশুর মা।
তবে চার শিশুর পরিবার এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানা গেছে।
সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান বুধবার দেড় বছর আগের এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বাগালের ছেলে রুবেল মিয়াসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাত বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুইজনের মধ্যে রয়েছেন তার আরেক ছেলে জুয়েল মিয়া।
গত বছরে ১২ ফেব্রুয়ারি বিকালে বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়ার ছেলে মনির মিয়া, ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ, আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া ও আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিহত চার শিশুর বাড়ি গিয়ে দেখা যায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের। নিহতের পরিবারের সদস্যদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠছিল।
রায় শুনে নিহত শুভর মা পারুল বেগম, দাদী মরম চান, মনিরের মা ছুলেমা খাতুন, ইসমাঈলের মা মিনারা খাতুন বাড়ির উঠানে পড়ে কান্না করতে করতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফিরলেই আবার কাঁদতে থাকেন। আর বার বার চিৎকার করে বলতে থাকেন আমাদেরকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। প্রধান আসামি আব্দুল আলী বাগালের জামিন হয়ে গেছে, সে বাড়িতে ফিরে আমাদের মেরে ফেলবে।
এক পর্যায়ে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
নিহত ইসমাঈলের মা মিনারা খাতুন কান্নাকণ্ঠে বলেন, এ মামলার প্রধান আসামি আব্দুল আলী বাগালের মেয়ে আমাদেরকে প্রায়ই হুমকি দেয়, তার বাবা জেল থেকে বের হলে আমাদেরকেমেরে ফেলবে।
চার শিশু হত্যা মামলার বাদী নিহত মনির মিয়ার বাবা আবদাল মিয়া তালুকদার বলেন, এ মামলার প্রধান আসামির ফাঁসি হয়নি, তাই আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট হইনি। আমি উচ্চ আদালতে আপিল করব।
(ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/প্রতিনিধি/জেডএ)