কুবিতে বঙ্গবন্ধুর অপরিকল্পিত ভাস্কর্য নির্মাণের প্রতিবাদ
‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে খাটো করা মানেই বঙ্গবন্ধুকে খাটো করা। দেশের কোন সচেতন নাগরিকই মহান স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খাটো করে উপস্থাপন বা দৃশ্যমান করতে পারেন না। তাই অনতি বিলম্বে বঙ্গবন্ধুকে যথাযথ মর্যাদা ও মূল নকশা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করতে হবে।’
বুধবার বৃষ্টিস্নাত দুপুরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য প্রশাসনের অবহেলায় অপরিকল্পতভাবে নির্মাণের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
এসময় পরিকল্পিতভাবে বৃহৎ পরিসরে ভাস্কর্যসহ বঙ্গবন্ধু স্কয়ার নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে নির্মাণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সংযোগ সড়ক নির্মাণের দ্রুত উদ্যোগ নেয়ারও দাবি জানান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়া উদ্দিনের উপস্থাপনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মো. আইনুল হক, সহ-সভাপতি ড. জুলহাস মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক ও নাসির হুসেইন, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকী প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণে যথাযথ সম্মান দেখায়নি। বলিষ্ঠ ও সুঠাম দেহের অধিকারী বঙ্গবন্ধুকে খর্বাকৃতি দিয়ে স্থাপন করা হয়েছে যাতে দেখা যায় নির্মিতব্য ভাস্কর্যের হাতের আকৃতি পায়ের তুলনায় বড়। এক হাতের দৈর্ঘ্যরে সাথে অপর হাতের সামঞ্জস্য নেই। এছাড়াও সস্তা ও নিম্নমানের মেটাল দিয়ে ভাস্কর্যটি বানানো হয়েছে- যা জাতির পিতার সম্মানকে ক্ষুণ্ন করেছে। তাই অবিলম্বে মূল নকশা অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে জাতির পিতার ভাস্কর্য স্থাপন করে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার নির্মাণ করতে হবে।’
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনসমূহ পরিকল্পিতভাবে নির্মাণ ও নিজস্ব সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য দ্রুত উদ্যোগ নিতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সীমিত জায়গায় প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় ধার্য করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণাধীন রয়েছে। নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই মূল নকশা অনুযায়ী হয়নি বলে অভিযোগ উঠলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর নির্মাতা মৃণাল হককে সংস্কারের জন্য বলা হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)