পাবনায় বাড়ছে আখের বিকল্প সুগারবিটের চাষ

খাইরুল ইসলাম বাসিদ, পাবনা
| আপডেট : ২৯ জুলাই ২০১৭, ০৯:৩২ | প্রকাশিত : ২৯ জুলাই ২০১৭, ০৮:৩৮

আখের সংকটে প্রতিবছরই লোকসানের মুখে পড়ে সরকারি চিনিকলগুলো। তাই আখের বিকল্প হিসেবে চাষ হচ্ছে সুগারবিট। সাথী ফসল হিসেবে সুগারবিট চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মধ্যে।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা বলছেন, আখের পাশাপাশি সুগারবিট ব্যবহার হলে উৎপাদিত চিনি দিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানো সম্ভব।

পর্যাপ্ত চিনি উৎপাদনে কাঁচামালের সংকট মেটাতে দুই বছর আগে পরীক্ষামূলকভাবে সুগারবিট চাষ করে পাবনার ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট। পাবনার ঈশ্বরদীতে চলতি মৌসুমে পাঁচ একর জমিতে সুগারবিটের চাষ হয়েছে। আর ১২টি চিনিকল এলাকায় চাষ হয়েছে ২০ একর জমিতে। আখের তুলনায় স্বল্পমেয়াদি সুগারবিট ৫-৬ মাসের ফসল। চাষের খরচও কম।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জানান, আখের চেয়ে সুগারবিট থেকে চিনি আহরণের পরিমাণ বেশি। তাই সুগারবিট ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুতই লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারে চিনিকলগুলো।

বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্ত ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সাথী ফসল হিসেবে সুগারবিট চাষ করে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হবে। একই জমিতে দুটি চিনিজাতীয় ফসল উৎপাদন করতে পারবে। সুগারবিট পাঁচ মাসে উৎপাদন করে বাজারে বিক্রি করে দেবে। এর সঙ্গে আলু, পেঁয়াজ, রসুন চাষও করতে পারবেন কৃষক।

কৃষক সগারবিট চাষে বেশি লাভবান হবেন বলে জানানস বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনিস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক সমজিৎ পাল। কারণ আঁখ চাষ করতে ১২ মাস সময় লাগলেও সুগারবিট পাঁচ মাসে ফলন পাওয়া যাবে। চিনি উৎপাদনের পরিমাণও বেশি হবে।

বছরের নির্ধারিত সময়ে আখ মাড়াই শেষে সুগারবিট মাড়াই করবে চিনিকলগুলো। আবার সুগারবিটের বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে পশুখাদ্য ও বায়োগ্যাসও উৎপাদিত হবে বলে জানান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (বায়োগ্যাস) সানোয়ার হোসেন বলেন, সুগারবিট ব্যাপক হারে চাষ হলে তার বর্জ্য দিয়ে বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির মাধ্যমে উন্নত মানের বায়োগ্যাস তৈরি হবে। এই বায়োগ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হলে এতে প্রাকৃতিক বায়োগ্যাসের ওপর চাপ কমবে।

২০১৯ সালের দিকে সুগারবিট থেকে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যের কথা জানান বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনিস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, সরকার চিনিকলগুলো উন্নয়নের জন্য ঠাকুরগাঁও চিনিকলে সুগারবিট থেকে চিনি উৎপাদনের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। প্রকল্পটি ২০১৯ সালে সুগারবিট থেকে চিনি উৎপাদন করবে।

দেশে বছরে ১৪ লাখ টন চিনির চাহিদার মাত্র সাত শতাংশ পূরণ করতে পারে রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫টি চিনিকল।

(ঢাকাটাইমস/২৯জুলাই/প্রতিনিধি/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা

ব্যাংক এশিয়া কিনে নিচ্ছে পাকিস্তানি আলফালাহ ব্যাংক

এনসিসি ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মধ্যে চুক্তি

এক্সিম ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন মইদুল ইসলাম

ডিএমডি হলেন অগ্রণী ব্যাংকের শামিম উদ্দিন আহমেদ

জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস আইএমএফের

নাটক রূপান্তর: দুঃখ প্রকাশের পর এবার বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ ওয়ালটনের

বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে ওয়ালটনের আইনি নোটিশ, চুক্তি বাতিল

কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫১তম সভা অনুষ্ঠিত

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে কর্মসংস্থান ব্যাংকের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের শ্রদ্ধা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :