জামালপুরে টিআর-কাবিখার ৮ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ৩০ জুলাই ২০১৭, ০৮:১৯ | প্রকাশিত : ৩০ জুলাই ২০১৭, ০৮:১৬
ফাইল ছবি

জামালপুরের ইসলামপুরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও টিআর প্রকল্পের আট কোটি টাকার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্ছে, কোনো কোনো প্রকল্পের কাজ না করেই ৩০ জুনের আগে সম্পন্ন দেখিয়ে টাকা তুলে নেয়া হয়েছৈ।

ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় কাবিটা ও টিআর প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৮১৮ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

স্থানীয় সংসদ সদস্যদের নামে বরাদ্দকৃত কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের আওতায় ৮৯টি প্রকল্পের অনুকূলে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৫১ হাজার ৭৯১ টাকা এবং ৬৬টি সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য ১ কোটি ৯৩ লাখ ৫১ হাজার ৭৯১ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। একই অর্থবছরের কাবিটা বিশেষ প্রকল্পের আওয়তায় দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ৬৪০ টাকা।

টিআর সাধারণ প্রকল্পের আওতায় ২৯৫টি প্রকল্প ও ১৬১টি সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য ৩ কোটি ৬১ লাখ ১৫ হাজার ৩৯৪ টাকা বরাদ্দ হয়। এ ছাড়া টিআর বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ১৪৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৪৪ লাখ ৬৫ হাজার ২০২ টাকা।

৩০ জুনের মধ্যে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়। এর মধ্যে প্রকল্পের টাকা ব্যয় না হলে তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ফেরত দেয়ার নিয়ম।

অভিযোগ রয়েছে, এসব প্রকল্পের টাকা ফেরত যাওয়ার ভয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের পরামর্শে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) ও উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরকারি তহবিল (মূল হিসাব) থেকে টাকা তুলে তা একটি তফসিলি ব্যাংকে দুজনের যৌথ নামে খোলা হিসাবে জমা রাখেন।

সরেজমিনে ইসলামপুর উপজেলার কাবিটা ও টিআরের বেশ কটি প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে, এখনো সেগুলোর শতকরা ৪০ থেকে ৫০ ভাগ কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। আবার অনেক প্রকল্পের কাজ হয়েছে খুব সামান্য। প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন না হলেও এসব প্রকল্পের কাজের শতভাগ অগ্রগতি দেখিয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ৩০ জুনের আগে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।

ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটুর কাছে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই জেলা কর্মকর্তার কার্যালয়ে শতভাগ অগ্রগতির প্রতিবেদন দাখিল ও টাকা উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব দিননি। তবে সবকিছু কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে হয়েছে বলে জানান তিনি।

টিআর-কাবিটা প্রকল্পে অনিয়ম ও টাকা তোলার ঘটনা জানতে চাইলে ইউএনও এ বি এম এনসানুল মামুন দাবি করেন, ‘সরকারি নিয়ম মেনেই সব কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে সোলারের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা শতকরা ৫০ ভাগ টাকা ঠিকাদারকে দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট টাকা তাদের যৌথ হিসাবে রাখা হয়েছে।’ কাজ শেষে তা তাদের দেয়া হবে বলে দাবি করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুলাই/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :