অ্যাটর্নির পরামর্শ ছাড়াই শৃঙ্খলাবিধির খসড়া আদালতে
অধঃস্তন আদালতে চাকরি ও শৃঙ্খলাবিধিমালা নিয়ে আইনমন্ত্রণালয় থেকে যে খসড়া করেছে তাতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কোনো পরামর্শ নেয়া হয়নি।
গত কয়েক মাস ধরেই সরকারের সঙ্গে এই খসড়া নিয়ে উচ্চ আদালতের টানাপড়েন চলছে। ২২ দফা সময় নেয়ার পর বৃহস্পতিবার যে খড়সা উচ্চ আদালতে জমা দেয়া হয়েছিল, তিনদিন পর তা গ্রহণ করেনি আপিল বিভাগ। কারণ, এই খসড়া তাদের সুপারিশ অনুযায়ী হয়নি।
আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ দেশে ক্ষিপ্ত হয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের উপস্থিতিতে শুনানিতে এক পর্যায়ে এমনও বলেন যে, ‘হাইকোর্ট রেখেছেন কেন, হাইকোর্ট বন্ধ করে দেন।’ একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সেখানে অ্যাটর্নি জেনারেলকে উপস্থিত থাকতেও বলা হয়েছে।
আপিল বিভাগের এই প্রতিক্রিয়ার পর দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেলে। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার সঙ্গে পরামর্শ না করেই এই সুপারিশমালা পাঠানো হয় আপিল বিভাগে।
মাহবুবে আলম বলেন, ‘অন্যান্য দেশে, বিশেষ করে ইউএসএতে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ আইনমন্ত্রীর সমপর্যায়ের। বাংলাদেশে তা নয়। আমার কাছে তাদের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন নেই। যদি এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো পরামর্শ চায় তাহলে দেব। আমার দায়িত্ব এটি আদালতে উপস্থাপন করা।’
আদালত একটি বৈঠকের কথা বলেছেন সেটি কবে হবে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাকে আদালত জানিয়েছেন, আপিল বিভাগের বিচারপতিরা আইনমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের, যাদেরকে সরকার পাঠাতে চান তাদের সাথে বসতে চান। এ ব্যাপারটা সুরাহা করার জন্য। এ ব্যাপারে আমি আইন মন্ত্রণালয়কে জানাব। আগামী বুধবার ওনারা (আপিল বিভাগ) বসতে চান।’
ওই খসড়ায় ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ’ বিষয়টি নিয়ে আপিল বিভাগ কথা বলেছেন, আসলে এটি দিয়ে কী বুঝানো হয়েছে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এ বিষয়ে কি বুঝানো হয়েছে তা বলতে পারবে আইনমন্ত্রণালয়। আর প্রধান বিচারপতি কী বুঝেছেন এটা তার বিষয়। আসলে এ নিয়ে আলোচনা হলে বুঝা যাবে আসলে কী বুঝানো হয়েছে।’
(ঢাকাটাইমস/ ৩০ জুলাই/ এমএবি/ডব্লিউবি)