বগুড়া ধর্ষণ: তুফানের স্ত্রী-শ্বশুরসহ চারজন গ্রেপ্তার

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩১ জুলাই ২০১৭, ১১:৩৯

বগুড়ায় এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও মাসহ মাথা ন্যাড়া করার ঘটনার করা মামলায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারের স্ত্রী-শ্বশুরসহ আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে তুফানের স্ত্রী আশা, তার গাড়িচালক জিতু এবং সহযোগী মুন্নাকে রবিবার দিবাগত রাত একটার দিকে ঢাকার সাভার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করা হয় তুফানের শ্বশুর জামিলুর রহমান রুনুকে।

এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার ১০ আসামির মধ্যে নয়জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। মামলার অপর আসামি শিমুল এখনো পলাতক রয়েছেন।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তী জানায়, গতকাল রাতে পুলিশ সদর দপ্তর ও সাভার থানা পুলিশের সহযোগিতায় পালিয়ে থাকা আশা, জিতু ও মুন্নাকে সভার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের বগুড়ায় আনা হচ্ছে। সকাল ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আসামিরা বগুড়ায় পৌঁছেনি।

গত ১৭ জুলাই শহর শ্রমিক লীগের সভাপতি তুফান সরকার কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার কথা বলে ওই কিশোরীকে বাসায় ডেকে নেয়। এরপর দিনভর তাকে আটকে রেখে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখানো হয়। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনাটি ওই কিশোরীর মা জানতে পারে এবং বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে তুফান সরকারের স্ত্রীর কানে যায়।

এরপর শুক্রবার বিকেলে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা খাতুন তার বড় বোন পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি এবং তার মা রুমি বেগম ওই ধর্ষিতা ও তার মাকে বিচারের নামে ডেকে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালায়। পরে তাদের দুজনের মাথা ন্যাড়া করে দেয় তারা।

এরপর ২০ মিনিটের মধ্যে বগুড়া শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে যেতে রিকশায় তুলে দেয়া হয় মা-মেয়েকে।

আহত মা-মেয়ে চিকিৎসার জন্য বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে ঘটনা জানতে পারে পুলিশ। ওইদিন রাতেই তুফানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

এরপর বিচারের নামে নির্যাতনের অভিযোগে পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর রুমকি ও তার মা রুমি বেগমকে পাবনা শহর থেকে রবিবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে বগুড়া ডিবি পুলিশ।

গ্রেপ্তার নারী কাউন্সিলর রুমকি বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর এলাকার জাহিদ হাসানের স্ত্রী। তার মা রুমি বেগম শহরের বাদুড়তলা এলাকার জামিলুর রহমানের স্ত্রী। আশা কাউন্সিলর রুমকির ছোট বোন।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, আলোচিত এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত রুমকি ও তার মা রুমি বেগম, ছোট বোন আশা, গাড়ি চালক জিতু এবং সহযোগী মুন্না ও শিমূল ঘটনার পরই গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে ছিল।

ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/প্রতিনিধি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ছাতকে বাস ও অটোর সংঘর্ষে শিল্পী পাগল হাসানসহ দুইজনের মৃত্যু

মির্জাপুরে তৈরি পোশাকের দোকানে আগুন, মালামাল পুড়ে ছাই

বাড়ি ফেরার পথে লাশ হলেন বৃদ্ধ সুরুজ আলী

জাজিরায় কৃষকদের দুই দিনব্যাপী কন্দাল ফসল চাষের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

কালকিনিতে পুলিশের তাড়া খেয়ে বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ

বাসর করেই স্বামী পলাতক! শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান নববধূর

বগুড়ার তিন উপজেলা নির্বাচনে মনোয়‌নে বৈধতা পে‌লেন ৩৫ জন

মহেশপুর সীমান্তে ৪০টি স্বর্ণের বারসহ দুজন আটক

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের খোঁজ নিলেন ঢাকা টাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন

রায় জালিয়াতি: শিবচরের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :