শিশুকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পেয়ারাবাগান এলাকায় ছয় বছর বয়সী শিশু সন্তানকে গলাকেটে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন বাবা নিজেও। সোমবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বড় হযরতপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম ও তার শিশুপুত্র সাইদী হাসান। বাবা রাশেদুল ইসলাম মানসিক রোগী ছিলেন বলে দাবি স্বজনদের।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাশেদুলের বাবা আবুল হোসেন পেয়ারাবাগান এলাকার আবুল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। কয়েকদিন আগে ছেলে সাইদী হাসানকে নিয়ে পেয়ারাবাগানে বেড়াতে আসেন রাশেদুল।
সোমবার সকালে শিশুপুত্রকে বাড়ির পাশের নালায় নিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেন রাশেদুল। স্থানীয় জনতা ধাওয়া দিলে ঘরের ভেতরে গিয়ে দরজা আটকে দেন তিনি। স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে রাশেদুলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
রাশেদুলের মা জোসনা বেগম জানান, রাশেদ দুই/তিন বছর ধরে মানসিক রোগী ছিলেন। মাঝেমধ্যে বাড়িতে থাকলেও অনেক সময় বাইরে দিন কাটাতেন। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ দেয়া হলেও তিনি এসব অগ্রাহ্য করেন। সকালে তাদের অনুপস্থিতিতে নিজের ছেলেকে গলাকেটে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ জানান, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/প্রতিনিধি/এমআর