জাবিতে একদিকে অবরোধ অন্যদিকে আলোচনা

জাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩১ জুলাই ২০১৭, ১৬:২৮

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর, শিক্ষকদের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে প্রশাসনের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ কর্মসূচি চলছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্যমঞ্চের শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির নেতাদের সাথে আলোচনায় বসেছেন উপাচার্য।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলের সাথেও উপাচার্য আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাজির আমিন চৌধরী জয়। যেখানে সামগ্রিক বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে ‘প্রতিবাদের নাম জাহাঙ্গীরনগর’ এই ব্যানারে চার দফা দাবিতে সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। মামলা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এ অবরোধ চলবে বলে জানিয়েছেন অন্দোলরত শিক্ষর্থীরা। এতে উপাচার্যসহ কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ কার্যালয়ে প্রবেশ করতে না পারায় সব প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

সকাল নয়টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম তাঁর কার্যালয়ে প্রবেশ করতে এসে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়েন। এরপর আলোচনার জন্য তিনি রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিকের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন এবং প্রশাসনিক ব্যক্তিদের সাথে আলোচনায় বসেন। তবে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হলে তারা বের হতে পারবেন না বলে সে সময় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদককে জানিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এর মধ্যে শিক্ষক সমিতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও আলোচনা করে।

এ বিষয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সুস্মিতা মরিয়ম বলেন, মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সকাল থেকে আমরা প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রেখেছি। শিক্ষক সমিতির সাথে আমাদের কথা হয়েছে। তারা আমাদের আশ^স্ত করেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, মামলা একটি আইনি প্রক্রিয়া। এটি আইনিভাবে মোকাবেলা করতে হবে। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। তারা নির্দোষ হলে অবশ্যই মুক্তি পাবে।

সংকট মোকাবেলার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, সমাধানের জন্য আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ মে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ ও উপাচার্যের বাস-ভবন ভাঙচুরের অভিযোগে ৫৬ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ অনশন সহ একের পর এক আন্দোলন চালিয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ গত ১৭ জুলাই প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তা-ব্যক্তিরা সাত দিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিলেও এখনো পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।

(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :