বৃষ্টির হাতে লাল গোলাপ

মোহাম্মাদ অয়েজুল হক
 | প্রকাশিত : ৩১ জুলাই ২০১৭, ২২:০৮

শ্রাবণের মনটা খারাপ। মন খারাপ থাকলে মেজাজও খারাপ থাকে। মেজাজ এখন খিটখিটে অবস্থায়। কেউ ভালো কথা বললেও ভালো লাগবে না, চিৎকার করবে। কষে চড়ও মারতে পারে। বৃষ্টির সাথে দেখা হবার পর থেকে কয়েকটা দিন এ অবস্থা। মন আর মেজাজ মাপার যন্ত্র নেই। একটা যন্ত্র থাকলে ভালো হতো। মেজাজ পরিমাপ যন্ত্র। থর্মোমিটারের মতো ওই যন্ত্রটা দিয়ে মন মেজাজের অবস্থা নির্ণয় করা গেলে সবাইকে অগ্রিম সাবধান করা যেত। বলা যেত দেখ দেখ আমার মন এখন ১৫ ডিগ্রি চরম অবস্থানে আছে, কাছে এসো না। যে ব্যাপারটা বুঝতো সে দৌড়ে পালাতো।

বৃষ্টি যে একটা কী! শ্রাবণের হৃদয়ের উপর দিয়ে বিচরণ করে সারাক্ষণ। বাড়িতে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করেছিল শ্রাবণ। ‘আমি বৃষ্টিকে বিয়ে করতে চাই।’ আম্মুর সামনে দাঁড়িয়ে এমন বেহায়ার মতো কোনোদিন বলেনি। কালে কালে লজ্জা জিনিসটা মানুষের মাঝ থেকে বিদায় নিচ্ছে। নিজেকে দিয়েই বুঝতে পারে শ্রাবণ। লজ্জা দিয়ে কী হবে! লজ্জা করেইবা কী লাভ। আধুনিক বিশ্ব, পাশ্চাত্য সভ্যতা ওখানে লজ্জার বালাই নেই। আমরা পশ্চিমা সভ্যতা উপলব্ধি করতে পেরেছি। অনুকরণ করতে শিখেছি। সভ্য হতে হলে এখন ন্যাংটো কিংবা আধান্যাংটো হয়ে ইংরেজি মিউজিকের সাথে নাচা শিখতে হবে।

শ্রাবণের মা অনেকক্ষণ নিজের সন্তানের দিকে তাকিয়ে থাকেন। যেন নিজের সন্তানকেই চিনতে পারছেন না। অনেক সময় পর কথা বলেন তিনি, ‘বাবা বৃষ্টিকে আমি যতটুকু জানি তাতে ও সবদিক থেকে ভালো, কিন্তু পরিবেশের কারণে সে এমন ভাবে বড় হয়েছে যে, এখন সৃষ্টিকর্তার আদেশ পালন করতে বা মেনে নিতে তার অনেক কষ্ট হবে। হয়তো পারবে না কিংবা মেনে নেবে না।’

‘না, মা বৃষ্টি ভালো হবে। একটা জান্নাত হবে বৃষ্টি এবং আমার। মা, ইসলামের চাইতে কল্যাণকর আর কোনো বিধান মানবজাতির জন্য নেই থাকতেই পারে না, আমি বৃষ্টিকে বোঝাবো।’

বৃষ্টির সাথে প্রথম যেদিন দেখা। একটা সবুজ সেলোয়ার কামিজ, সাদা ওড়না পরে স্কুলে যাচ্ছিল মেয়েটা। সাদা ধবধবে নয়, উজ্জ্বল শ্যামলা গায়ের রং। মিষ্টি মুখ। মায়াবি দুটো চোখ। বৃষ্টিকে ভীষণ ভালো লাগে শ্রাবণের। ‘কী নাম আপনার?’

শ্রাবণের কথা শুনে বৃষ্টি থমকে দাঁড়ায়। ‘কিছু বললেন?’

‘হ্যাঁ, নাম জানতে চেয়েছি।’

‘বৃষ্টি।’ ছোট্ট একটা শব্দ উচ্চারণ করে মেয়েটা।

‘মিষ্টি। বাহ্ বেশ চমৎকার নাম।’

‘মিষ্টি নয় সাহেব বৃষ্টি।’

‘ও বৃষ্টি, যাক বৃষ্টিও খুব সুন্দর নাম!’

কিছুক্ষণ নিষ্পলক দৃষ্টিতে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে থাকে শ্রাবণ। বলতে ইচ্ছা করে, বৃষ্টি তুমি শুধু আমার। শ্রাবণের। তোমার সৌন্দর্য, তোমার রূপ, টানা টানা মায়াবি চোখ ও যেন আমার হয়, এ যেন আমায় খোঁজে।

‘কী ব্যাপার হা করে তাকিয়ে আছেন কেন?’

শ্রাবণ ঠোঁটে হাত দেয়। ঠোঁট দুটো পরস্পর মেশানো আছে। ‘কই হা তো করিনি?’

শ্রাবণের কথা শুনে বৃষ্টি হাসে। হাসিটা চমৎকার। এতো সুন্দর হাসে বৃষ্টি।

‘আপনার উদ্দেশ্য কী?’

‘উদ্দেশ্য মহৎ, তোমাকে বিয়ে করা।’

‘বাবা মা তো আমাকে বিয়ে দেবে না। তিন বছর কম হলেও।’

‘খুব ভালো কথা, তিন বছর হোক কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু এই তিন বছরে আবার অন্য কাউকে নিয়ে স্বপ্ন সাজিয়ো না।’

বৃষ্টির বাবা একটা স্কুলের হেড মাস্টার। নামাজি মানুষ। মুখে দাড়ি। কেউ কেউ নিজে খোদার হুকুম পালন করেন অথচ তার আপন সন্তান, প্রাণপ্রিয় সহধর্মিনী কাউকে খোদার হুকুমের বলেন না। বলেন না নামাজ পড়তে হবে। মেয়েদের পর্দা সহকারে চলাফেরা করতে হবে।

বৃষ্টিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে শ্রাবণ। পালংয়ের উপর শুয়ে শুয়ে স্বপ্ন সাজায়। জানালা দিয়ে দেখা যায় মোতলেব আমিনদের দোতালা বাড়ি। দোতালার কাজ এখনো শেষ হয়নি। প্লাস্টার, রং, জানালা-দরজা এগুলো বাকি। দোতালাটাকে কেমন কানা কানা লাগে।

‘চাচ্চু তুমি কী করছো?’ শ্রাবণের ভাইপো রিয়াদ। চার বছর এখনো হয়নি, কিন্তু ভীষণ পাকা হয়েছে।

‘কিছুই করছি না।’ জবাব দেয় শ্রাবণ।

‘চাচ্চু আমি চকোলেট খাবো।’

‘না চকলেট খেতে হয় না।’

‘তাহলে কী খেতে হয়?’

‘কিচ্ছু খেতে হয় না।’

‘জানো, আব্বু বলেছে না খেলে মানুষ মরে যায়। আমি আইসক্রিম খাবো চাচ্চু। আইসক্রিম কিনে দাও।’

‘আইসক্রিম ভালো না। আইসক্রিমে স্যাকারিন দেয়া হয় যা অতিরিক্ত মিষ্টি এবং....’

‘চাচ্চু আমি মিষ্টি খাবো।’

শ্রাবণের মেজাজ খারাপ হয়, ‘মিষ্টি তোর পিঠে দেব।’

‘চাচ্চু জানো, আমার বইতে না লেখা আছে তাল পিঠা খেতে ভারি মাজা। আমি পিঠা খাব চাচ্চু।’

‘উফ্, অসহ্য! রিয়াদ আর একটা কথাও বলবি না।’

‘কথা বলবো না কেন চাচ্চু? জানো বোবা মানুষ কথা বলতে পারে না।’

‘না জানি না।’

‘এতোবড় হয়েছ এখনো জানো না? কী আশ্চর্য! চাচ্চু তুমি একটা বোকা। বোকা চাচ্চু।’

শ্রাবণ উঠে বসে। অবস্থা বুঝে রিয়াদ দৌড়ে পালায়। খিলখিল করে হাসতে হাসতে দৌড়ায়। এরকম একটা শৈশব শ্রাবণের পার হয়েছে অনেক বছর আগে। সেদিনগুলো আজ আর মনে পড়ে না। কৈশর, যৌবনের অসংখ্য স্মৃতির মাঝে শৈশবের স্মৃতিগুলো হারিয়ে গেছে। যৌবন নাকি সবচেয়ে দ্রুত পার হয়। দেখতে দেখতে চলে যায় কতোটা বছর। টের পাওয়া যায় না। বার্ধক্যে শরীর, দেহ, মন, রক্ত, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। মনে হয়, হায় কী একটা জীবন আমার। যার কোনো স্থায়িত্ব নেই সে জীবন নিয়ে আমাদের কতো গর্ব, অহংকার।

ঘড়ি অ্যালার্ম দেয়। এগারটা পঁয়তাল্লিশ। এ সময় বৃষ্টির কোচিং শেষ। বাড়ি ফিরবে মেয়েটা। তড়িঘড়ি করে বের হয় শ্রাবণ। বৃষ্টি একা একা হেঁটে হেঁটে আসে। ‘কেমন আছো বৃষ্টি?’

‘ভালো আছি।’ সংক্ষেপে জবাব দেয় মেয়েটা।

‘বৃষ্টি একটা কথা বলি।’

‘জ্বি, বলুন।’

‘খোদা তোমাকে সৃষ্টি করেছেন সুন্দর করে। তোমার রূপ দিয়েছেন সারা পৃথিবীর মানুষকে মুগ্ধ করার জন্য নয়।’

‘কী বলতে চান আপনি?’

‘তোমার সৌন্দর্যের হেফাজত করো যথাযথভাবে, না হলে মাছি বসবে।’

‘হোয়াই ননসেন্স!’

‘বৃষ্টি পর্দা সহকারে চললে কী এমন ক্ষতি হয়! পৃথিবী তোমারই থাকবে, তোমার স্বাধীনতা থাকবে, তুমি দেখতে পারবে, ঘুরতে পারবে, সবকিছু করতে পারবে। বৃষ্টি খোদার হুকুম বান্দর জন্য কষ্টকর কিছু নয় বরং মঙ্গলজনক। একটা জিনিস ভাবো খোদা ইচ্ছা করলে তোমার চোখ দুটো না দিতে পারতেন। অনেককেই দেননি। তখন হাজার চেষ্টা করেও কিছু দেখতে পারতে না তুমি। খোদা যদি একটা হাত অথবা পা না দিতেন তাহলে কী করতে? সারাদিন ঘরের ভেতর বসে বসে কাদাঁ ছাড়া উপায় ছিল না। কাঁদতে আর ভাবতে, হায় যদি একটা পা থাকতো আমার। বৃষ্টি খোদা তোমাকে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন বলে দুনিয়াকে জান্নাত ভেবো না, অচিরেই মৃত্যু তোমার সামনে এসে দাঁড়াবে। খোদাকে স্মরণ কর আর তোমার রূপ সৌন্দর্য শত মানুষ থেকে আড়াল রেখে উৎস্বর্গ করো তোমার স্বামীর পদতলে।’

‘আপনি কি আমাকে বোরকা পরতে বলছেন?’

‘না, শুধু বোরকা নয় একজন মুসলিম নারী হিসাবে যা যা করণীয় সবকিছু করতে বলছি। আমি তোমার সাথে দুনিয়া ও আখেরাতের অনন্ত জীবনের সাথী হতে চাই।’

‘দেখুন শ্রাবণ ভাই, আপনাকে কিন্তু আমারও ভালো লাগে। আপনার জীবন সাথী হতে পারলে আমারও ভালো লাগতো। বাট আমাদের ট্রেডিশান আছে। গেঁয়ো সেকেলে কৃষ্টি কালচারগুলোকে আমরা সবাই ঘৃণা করি।’

শ্রাবণ নির্বাক হয়ে যায়। অনেকক্ষণ মাটির দিকে তাকিয়ে থাকে। শ্রাবণের বুকটা ব্যাথায় ভারী হয়ে ওঠে। চোখ দুটো ছলছল করে। এক সময় দু'ফোঁটা অশ্রুও ঝরে পড়ে খোদার জমিনে। বৃষ্টিকে ও ভীষণ ভালোবাসে। কান্না জাড়ানো গলায় বলতে শুরু করে, ‘বৃষ্টি জানো পরকীয়া প্রেম কেন হয়? কেন একটা স্বামী তার বউকে রেখে অন্য পুরুষের বউয়ের সাথে পালায়? রাত কাটায়। জানো তুমি তোমাদের সুন্দরী নারীদের মুখে কেন অ্যাসিড পড়ে? কেন অসংখ্য যুবক ধ্বংস হয়, সিগারেট খায়, মদখায়, দেবদাস হয়? জানো না মিষ্টির দোকানদার মিষ্টিগুলো সাজিয়ে রাখে বিক্রির জন্যে। সুন্দর করে সাজানো থাকে ওগুলো মানুষ খায়, কেন। পতিতা পল্লীতে বেশ্যারা সেজে থাকে দশজনের কাছে নিজেকে বিক্রির জন্য। ইউরোপ-আমেরিকায় বেশ্যার ঝাক। বৃষ্টি তুমি সুন্দর শুধু আমার জন্য। দশজনকে নিজের রূপে মুগ্ধ করলে সবাই তোমাকে চাইবে। বৃষ্টি কেউ অ্যাসিড ছুড়বে। বৃষ্টি কারও সুন্দর জীবন তোমার জন্য নষ্ট হবে। বৃষ্টি কেউ তোমাকে নিয়ে বিশ্রী স্বপ্ন সাজাবে।’

‘আই অ্যাম সরি।’ কথা শেষ করে বৃষ্টি এক মুহূর্ত দাড়াঁয় না। হনহন করে হেঁটে যায়। শ্রাবণের কাঁদতে ইচ্ছা করে। ছোট বাচ্চাদের মতো কাঁদতে ইচ্ছা করে। বড়ি ফিরে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে খোদার কাছে প্রার্থনা করে। এক পর্যায়ে ঢুকরে কেদে ওঠে শ্রাবণ।

কান্নার সময় রিয়াদ এসে হাজির হয়। ‘কাদঁছো কেন চাচ্চু?’

‘রিয়াদ এখান থেকে যাও।’

‘যাবো কেন, আমি কি তোমার পর?’

‘না খুব আপন। যা এখান থেকে।’

‘চাচ্চু আমি তোমার কোলে উঠব।’

রিয়াদ বাড়িটাকে মাতিয়ে রাখে। ভালো লাগে শ্রাবণের। ‘তোমার বয়স তিন বছর নয় মাস। কোলে ওঠার বয়স শেষ হয়েছে অনেক দিন আগেই।’

‘চাচ্চু কতো বছর বয়স পর্যন্ত কোলে উঠতে হয়?’

‘এর কোনো ধরা বাধা বয়স নেই। এই যেমন তুই ইচড়ে পাকা হয়েছিস বলে তোকে কেউ কোলে নেয় না, হাবাগোবা হলে এখনো কোলে উঠতে পারতি।’

‘চাচ্চু আমি হাবা-গোবা আমাকে কোলে নাও।’

‘আয়।’

‘আছাড় দেবে না তো!’

‘না আছাড় দেব না।’

অনেকদিন পর রিয়াদকে কোলে নেয়। চুমো দেয়। আদর করে।

রাতের বেলা আকাশে চাঁদ ওঠে। বেশ বড় একটা চাঁদ। চাঁদের বয়স কতো ঠিক বুঝতে পারে না শ্রাবণ। এগার বার হবে। মনে মনে গায়-

তুমি আসবে না জানি

শ্রাবণের বৃষ্টি হয়ে উষ্ণ মরুভূমি ভেজাতে

চৈত্র মাসের প্রচণ্ড রৌদ্র তাপে ফেটেছে জমিন

ফেটে চৌচির হৃদয় আমার

তবু তুমি আসবে না বৃষ্টি

শ্রাবণের বৃষ্টি হয়ে ঝরবে না আর।

রাতের বেলা শুয়ে শুয়ে বৃষ্টির কথা ভাবে। মনটা আনচান করে। ব্যথাভরা চিৎকার দিতে থাকে হৃদয়। সেই চিৎকারের সাথে সুর করে যেন বেজে ওঠে মোবাইলের করুণ সুর।

‘আসসালামু আলাইকুম।’

‘ওয়ালাইকুমুসসালাম। আমি বৃষ্টি।’

‘ও, বৃষ্টি।’ শ্রাবণের বুকের ভেতরটা হু হু করে কেঁদে ওঠে। ‘বৃষ্টি কেমন আছো?’

‘জ্বি, ভালো।’

‘তা কী মনে করে এতো রাতে?’

‘আপনি আমাকে ভুলে যান।’

শ্রাবণ অনেক কষ্ট করে হাসে। বৃষ্টিকে হাসির শব্দ শোনায়। হাসিতে শব্দ হয় চোখ দিয়েও পানি ঝরে। ভুলেতো যাবই। পৃথিবীতে মানুষের কতো চাওয়াই তো পূর্ণ হয় না। কতো অসহায়ের চোখের জল মাটিতে পড়ে কেউ দেখে না। কতো পূর্ণিমা আকাশে ঝলকায় অথচ অনেকেই গাইতে পারে না আনন্দের গান। তুমি আমাকে প্রত্যাখ্যান করছো দুঃখ নেই, বিশ্বাস করো দুঃখ নেই। ইসলামকে বুকে জড়িয়ে নাও পূর্ণ ভাবে আমি খুশি হবো। যেখানেই থাকো আমার জন্য নয় তোমার নিজের জন্য ইসলামকে, খোদার দেয়া বিধানকে মেনে চলো।’

‘শুনুন কাল বিকাল পাঁচটার সময় আমাদের কোচিংয়ের সামনে থাকবেন।’

কেন থাকবে প্রশ্নটা করা হয় না, বৃষ্টি লাইন কেটে দেয়।

কেন থাকবে। হয়তো সান্ত্বনা দেবে। বলবে আপনাদের পরিবার সেই চৌদ্দশত বছর আগের, ইসলামিক। আমরা মর্ডান। আমাদের ডিশ লাইনের সংযোগ আছে। হিন্দি সিনেমা, সিরিয়াল গুলো আমার খুব পছন্দ। আমাকে ভুলে যান আমি ইসলামিক হতে পারবো না।

পড়ন্ত বিকাল। সূর্য পশ্চিম দিগন্তে ঢলে পড়েছে। আকাশে মেঘ নেই। নীল আকাশ। কোচিংয়ের সামনে গিয়ে ঘড়ি দেখে শ্রাবণ। বিকাল পাঁচটা। দূর থেকে একটা মেয়ে হেঁটে হেঁটে আসছে। কালো বোরকা পরা। আবৃত সারা শরীর। মায়াবি চোখ দুটো দেখে বৃষ্টিকে চিনতে ভুল হয় না শ্রাবণের। বৃষ্টির হাতে একটি লাল গোলাপ। তাজা লাল টুকটুকে গোলাপ।

চারিদিকে ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয় মুয়াজ্জিনের আজান...।

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :