অবরোধে স্থবির জাবির প্রশাসনিক কার্যক্রম

জাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০১ আগস্ট ২০১৭, ১৪:৫৫ | প্রকাশিত : ০১ আগস্ট ২০১৭, ১৪:৩৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর, শিক্ষকদের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে প্রশাসনের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি চলছে। মামলা প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখায় কার্যত প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। গতকাল সোমবারের মতো আজও উপাচার্য অধ্যাপক ড.ফারজানা ইসলাম তার কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় ’প্রতিবাদের নাম জাহাঙ্গীরনগর’এর ব্যানারে প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন ফটকে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিকাল চারটা পর্যন্ত এ অবরোধ চলবে।

আজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার কথা থাকায় অবরোধের কারণে সে কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে কর্মকর্তা-কর্মচারী নেতাদের কয়েক দফা অনুরোধের পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের কয়েকজনকে ভেতরে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে দুপুর সাড়ে তিনটার মধ্যে বের হয়ে যেতে হবে বলে জানিয়ে দেয়।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে হ্যান্ডমাইকে অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘প্রশাসনিক কার্যক্রম বিঘ্ন হয় এমন কর্মকাণ্ড থেকে তোমাদেরকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। আজকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হবে। তোমরা অবরোধ তুলে নাও।’

অনুরোধ না মেনে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রারকে বলেন, ‘মামলা প্রত্যাহার করে আমাদেরকে সুষ্ঠু জীবনযাপনের সুযোগ করে না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে।’

এরপর ১০টা ২০ মিনিটে প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্বল্প পরিসরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কালো ব্যাজ ধারণ ও সমাবেশ আয়োজিত হয়। ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের ব্যানারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে সংকট সমাধানের একটা চেষ্টা চলছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীরা রাজি হয়নি। আগামীকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা বড় অনুষ্ঠান থাকায় ৩ আগস্টের আগে আমার পক্ষে বসা সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীরা লাগাতার অবরোধের যে ঘোষণা দিয়েছে এ পর্যন্ত তাদের যাওয়া উচিত ছিল না।’

গত ২৭ মে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ ও উপাচার্যের বাস-ভবন ভাঙচুরের অভিযোগে ৫৬ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ অনশনসহ একের পর এক আন্দোলন চালিয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ গত ১৭ই জুলাই প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তা-ব্যক্তিরা সাত দিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিলেও এখনো পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।

(ঢাকাটাইমস/৩১আগস্ট/প্রতিনিধি/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :