গৃহবধূ নির্যাতনের বিচার চাওয়ায় শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলা

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ আগস্ট ২০১৭, ১৮:৩৯

ভোলার সদর উপজেলার রাজাপুরে এক অসহায় বাবা মেয়ের শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো ডাকাতি ও চাঁদাবাজি মামলার শিকার হয়েছেন। জুয়ায় আসক্ত জামাতা ও তার পরিবার মেয়ের বাবা আ. ওহাবকে হুমকি-ধামকি, অপমানসহ নানাভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। তিনি ১২ বছর ধরে স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করে আসছেন।

বুধবার দুপুর ১২টায় উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদে সংবাদ সম্মেলনে মো. আ. ওহাব লিখিত বক্তব্যে এ সব অভিযোগ করেন।

লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যে আ. ওহাব বলেন, তিনি রাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কন্দকপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার মেয়ে জান্নাত বেগমকে একই ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আবুল কাশেমের নিকট ২০০৮ সালের ১০ ডিসেম্বর বিয়ে দেন। বিয়ে রেজিস্ট্রি হওয়ার পরে, ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার পূর্বে কনে পক্ষের কাছে ছেলে পক্ষ ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। পরে স্থানীয়রা বসে ৫০ হাজার টাকা মীমাংসা করে দেয়। এরপর থেকে কয়েক বছর ভালোভাবে সংসার চলে আসছে। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। গত দুই বছর ধরে জামাই আবুল কাশেম আবারও দুই লাখ টাকা দাবি করে। কারণে-অকারণে মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো শুরু করে। বাবা-মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ৮০ হাজার টাকা দেন। আবুল কাশেম ওই টাকা জুয়া খেলে নষ্ট করে আবার টাকা দাবি করে স্ত্রীকে মারধর করে। কিন্তু ইমাম সাহেবের পক্ষে টাকা দেয়া অসাধ্য হয়ে পরায় আবুল কাশেম স্ত্রী-সন্তানকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে মেয়ে ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ৬ জুলাই একটি যৌতুক মামলা করেন। এ মামলার পরে জামাই পক্ষের ৮-১০ জন তার বাড়িতে আসেন সমঝোতার জন্য।

আ. ওহাব আরও বলেন, ১৫ জুলাই তার বাড়িতে সালিশে জামাই পক্ষ আবার দুই লাখ টাকা দাবি করেন। তখন মেয়ে যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে সালিশের মধ্যেই জামাই আবুল কাশেম, তার ভাই মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. সজীবসহ ৩-৪ জন মিলে এলোপাতাড়ি মারধর করে মেয়েকে গুরুতর জখম করে। মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পরলে জামাইপক্ষ নানা ধরনের হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এ ঘটনায় মেয়ে জান্নাত বেগম ১৭ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন।

বাবা আরও বলেন, এ ঘটনার পরে আবুল কাশেম গত ১৮ জুলাই ও তার ভাই মো. সজিব নেগাবান ২১ জুলাই ঘের ডাকাতি ও চাঁদবাজির অভিযোগে দুটি মিথ্যা মামলা করে। একই সঙ্গে ২১ জুলাই তার বাড়িতে এক দল সন্ত্রাসী এসে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। এ অবস্থায় তারা শঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

আবুল কাশেমের মুঠোফোন বন্ধ থাকলেও তার ভাই মো. সজীব নেগাবান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আ. ওহাব সরদার আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই টাকা না দেয়ায় আ. ওহাবের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ঘেরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং তার ভাইকে কুপিয়ে জখম করে।

(ঢাকাটাইমস/২আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :