রিংটোন নিষেধাজ্ঞা শুনানিতে পক্ষভুক্ত হলো হাঙ্গামা
মোবাইল ফোনে রিংটোন, ওয়েলকামটোন ও সব ভ্যালুয়েডেড সার্ভিস হিসেবে হিন্দি গান, ভারতীয় বাংলা গান ও উপমহাদেশের যেকোনো দেশের সিনেমার গান ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ ও রুলের শুনানিতে পক্ষভুক্ত হয়েছে মোবাইল ফোনভিত্তিক কনটেন্ট নির্মাতা ভারতীয় প্রতিষ্ঠান হাঙ্গামা।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার ভারতীয় ওই কোম্পানির পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন।
হাঙ্গামার পক্ষে শুনানি করেন তানজীবুল ইসলাম। রিটকারী প্রতিষ্ঠান মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন ফজলে নূর তাপস, মেহেদী হাসান চৌধুরী ও উপমা বিশ্বাস।
২০১৫ সালের ৯ জুলাই মোবাইল ফোনে রিংটোন, ওয়েলকামটোন ও সব ভ্যালুয়েডেড সার্ভিস হিসেবে হিন্দি গান, ভারতীয় বাংলা গান ও উপমহাদেশের যেকোনো দেশের সিনেমার গান ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয় হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করে হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে এসব গান ব্যবহারকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন আদালত।
সংস্কৃতি, আইন, স্বরাষ্ট্র ও তথ্যসচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান এবং ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। বর্তমানে রুলটি বিচারাধীন রয়েছে। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ও সেক্রেটারি বাদী হয়ে রিট আবেদনটি করেন।
হাঙ্গামা বাংলাদেশে দুই লাখ টাকা বিনিয়োগ করে আড়াই বছরে প্রায় ১৩ কোটি টাকা লভ্যাংশ দেশে পাঠিয়েছে। এই অস্বাভাবিক মুনাফা সম্পর্কিত তথ্যটি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) জানানোর পর কমিশন পুরো বিষয়টি অনুসন্ধান করছে।
(ঢাকাটাইমস/২আগস্ট/এমএবি/মোআ)