অটোতে কোলে বসায় প্রতিবাদ, ছাত্রীকে মারধর
শেরপুরে অটোরিকশার ভেতরে কোলে বসে পড়ার প্রতিবাদ করায় এক কলেজছাত্রীকে মারধর করেছে তারই এক ছেলে সহপাঠী। নির্যাতনে মাথায় আঘাত পাওয়া ওই শিক্ষার্থীকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার নাম মারিয়া।
আজ বুধবার বিকালে শহরের সজবরখিলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
মারিয়া ও তার সহপাঠীরা জানান, প্রতিদিনের মতো আজ দুপুরে বেশ কয়েকজন সহপাঠী প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে শহরের সজবরখিলা মোড়ে এসে দাঁড়ান। এসময় একটি অটোরিকশা আসলে সবাই একসাথে অটোতে উঠতে তোড়জোড় শুরু করে। এক পর্যায়ে সাজেদ নামে এক সহপাঠী মারিয়ার কোলে এসে বসলে সে প্রতিবাদ জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাজেদ মারিয়াকে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে মারিয়া জ্ঞান হারালে চম্পট দেয় সাজেদ। এদিকে মারিয়াকে তার অন্য সহপাঠীরা উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভর্তির পর মারিয়ার জ্ঞান ফিরলেও মাথায় প্রচ- আঘাত পাওয়ায় কিছুক্ষণ পর পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে।
তবে, অভিযুক্ত সহপাঠী সাজেদের পুরো নাম ঠিকানা জানাতে পারেনি অন্য সহপাঠীরা।এঘটনায় মারিয়ার বাবা আব্দুল মান্নান হামলাকারী সাজেদের বিচার দাবি করে বলেন, আমার মেয়ে খুব মেধাবী। তাই তার ছেলে সহপাঠীরা তাকে হিংসা করতো। মাঝে মধ্যে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে রাস্তায় উত্ত্যক্তও করতো। সাজেদের বিচার দাবি করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এমএ জব্বার প্রামাণিক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মাথায় আঘাত ও ভয় পাওয়ার কারণে মেয়েটি বার বার মূর্ছা যাচ্ছে। আপাতত কিছু ওষুধ দেওয়া হয়েছে। কিছু পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে সেগুলোর রির্পোট হাতে পেলে মূল চিকিৎসা শুরু হবে।
ঘটনার খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ হাসপাতালে দেখতে যায় নির্যাতনের শিকার ওই মেয়েটিকে। এ সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সাজেদকে আটক করার জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৩আগস্ট/প্রতিনিধি/ইএস)