বর্ষায় কীভাবে নিতে হবে শিশুর যত্ন?
বৃষ্টিভেজা দিনে প্রত্যেকের উচিত শরীরের প্রতি বিশেষ যত্ন নেয়া। বিশেষ করে ঘরের ছোটদের। একে তো তারা ছোট, নিজের যত্ন নিজে নিতে পারে না। তার সাথে রয়েছে শিশুদের অল্প রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। যার ফলে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পরে তারা। এই বৃষ্টিভেজা দিনে এর সংখ্যা আরো বেড়ে যায়। এ সময় শিশুরা জ্বর, নিউমোনিয়া, চর্ম রোগ ও ডায়রিয়াসহ নানা অসুখে ভোগে। ফলে শিশুদের নিয়ে সামান্য অবহেলায় ঘটে যেতে পারে অনেক দুর্ঘটনা। তাই বাড়তি যত্ন নেয়া উচিত এসময় শিশুদের ।
কীভাবে এই বর্ষায় নিতে হবে শিশুর যত্ন সে বিষয়ে ঢাকাটাইমসের সাথে কথা বলেছেন মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র/ম্যাটারনিটির শিশু, কিশোর এবং নবজাতক রোগ বিশেষজ্ঞ নাদিরা আফরোজে। তিনি বলেন, ‘বর্ষার এসময় বাচ্চাদের পানিবাহিত বা পানি থেকে বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে। নিউমোনিয়া, চামড়ায় সংক্রমণ, ভাইরাস জ্বরের মত অসুখ হয়। তবে এবছর ভাইরাল ডাইরিয়ায়ও ভুগছে অনেকে শিশু। এর প্রধান কারণ অপরিষ্কার পানি। তাই খাওয়া থেকে শুরু করে গোসল সব কাজের জন্যই পানি অবশ্যই ফুটিয়ে নিতে হবে।’
এছাড়াও এই বর্ষায় শিশুদের যত্ন কিভাবে নেয়া যাবে এ বিষয় পরামর্শ দিয়েছেন।
যেসব কাজ করা যাবে না
• শিশুকে পানিতে ভিজতে দেয়া যাবে না।
• বাইরের তরল খাবার খেতে দেয়া যাবে না এতে টাইফয়েডের ঝুঁকি বাড়ে।
• ভাইরাস জ্বর বা সর্দি কাশিতে আক্রান্তদের থেকে দূরে রাখতে হবে শিশুদের।
• না বলতে হবে তিন ‘চ’ কে। (চিপস, চকলেট, চটপটি)
• ট্যাপের পানিতে গোসল করানো যাবে না।
• আদ্র কাপড় পরানো যাবে না শিশুকে।
যে সব কাজ করণীয়
• শিশুকে শুকনো স্থানে এবং শুকনো পোশাক পরাতে হবে
• ভিজে গেলে শরীর মুছে দিতে হবে।
• ঘর এবং শিশুকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
• প্রতিদিন গোসল করাতে হবে কুসুম গরম পানি দিয়ে।
• শিশুকে ফুটিয়ে বিশুদ্ধ পানি পান করাতে হবে।
• গোসলের পানিও ফুটিয়ে নিতে হবে।
• প্রতিদিন কাপড় বদলাতে হবে। মেয়ে শিশুর বেলায় দিনে ২/৩ বার কাপড় বদলাতে হবে।
• ঘরের অন্য কারো সর্দি কাশি হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে কেন না শিশুরা সহজেই এতে আক্রান্ত হয়।
• মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে।
চিকিৎসক নাদিরা আফরোজ বলেন, যেহেতু টানা বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষের উচিত এসময় স্কুল বন্ধ রাখা। কেন না অপরিষ্কার এই পানির ফলে শিশুর রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি থেকে। এমনকি দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
ঢাকাটাইমস/০৩আগস্ট/টিজেটি/কেএস