এবার বাড়িতে হামলা করে দল বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের একটি বাড়িতে হামলা করে কিশোরীকে দল বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে একই পরিবারের কয়েকজন সদস্য। মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ব্রাহ্মণখালী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করেছে পুলিশ। এখন ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্রাহ্মণখালী এলাকার আব্দুল্লাহ মিয়ার মেয়ে রুনা আক্তারকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো একই এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে উজ্জ্বল মিয়া। রুনার পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি উজ্জ্বল মিয়ার পরিবারকে জানানো হয়। এরপরেও ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করতো উজ্জ্বল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৩ জুন রুনা আক্তারের ভাই হযরত আলী মোবাইলে ডেকে নিয়ে উজ্জ্বলকে পিটিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে উজ্জ্বলের পেটে আঘাত করে। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত. ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা কফিল উদ্দিন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর অভিযুক্ত হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদীপক্ষের কয়েকজন আব্দুল্লাহ মিয়ার বাড়িতে হামলা করে। এ সময় তারা আব্দুল্লার মেয়ে রুনা আক্তারকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। বাড়ির লোকজনের চিৎকার দিলে হামলাকারীরা বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সফিকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কিশোরীসহ পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করে। এসআই সফিক জানান, ‘ঘটনাটি ন্যক্কারজনক। উজ্জ্বল মিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রুনার ভাই হযরত আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার শাস্তি তো আদালত দিবেই।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেনও। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা নেয়া হচ্ছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকাটাইমস/৩আগস্ট/প্রতিনিধি/এমআর