‘ধর্ষিতা’ শিশুর পাশে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ আগস্ট ২০১৭, ২১:০২

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় মাদ্রাসা শিক্ষকের হাতে নয় বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণির ধর্ষিতাকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। বৃহস্পতিার বিকালে তিনি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে গিয়ে তার শয্যা পাশে গিয়ে চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।

এসময় পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন, বর্তমান সময়ে দেখা যায় অভিভাবকরা শিশুদের প্রতি ততটা গুরুত্বসহ খোঁজ-খবর রাখছেন না।

দেখা যায়, যাদের ১৫-১৬ বছর মেয়ে রয়েছে তারা তাদের প্রতিই বেশি নজর রাখছেন। শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের গুরুত্ব কম থাকায় এসব অপরাধীরা শিশুদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের সাথে এসব ঘটনা ঘটাতে সুযোগ পায়। এজন্য প্রত্যেক অভিভাবকদের শিশুদের প্রতি আরো যত্নবান ও সচেতন হতে হবে।

তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ওই দিনই শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। সেদিনই আমরা অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তাকে আদালতে সোর্পদ কারার পর সে ধর্ষণের ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। তাকে আইনের আওতায় রেখে আমরাও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। যাতে করে ভবিষ্যতে আর কোন লোক এমন ঘটনা না ঘটাতে পারে।

এসময় তার সাথে ছিলেন- চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওয়ালী উল্ল্যাহ অলি, শাহরাস্তি থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, এসআই মো. বাছির আলমসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।

প্রসঙ্গত, ৩১ জুলাই দুপুরে শাহরাস্তি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাত্ত্বলা গ্রামের বাত্ত্বলা আলীমুল কোরআন নুরানী মাদ্রাসার অফিস কক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষক ওহিদুজ্জামান মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

ওই ছাত্রীর মা জানান, প্রতিদিনের মতো ওই দিন তার মেয়ে সকাল ৯টার আগে মাদ্রাসায় যায়। ঘটনার দিন মাদ্রাসায় আরবি পরীক্ষা ছিল। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পযন্ত পরীক্ষা হয়। পরীক্ষা শেষে ওই ছাত্রী সকল শিক্ষার্থীর সাথে বাড়িতে রওনা হলে মাদ্রাসার হুজুর তাকে মাদ্রাসায় থাকার জন্য বলে। ছাত্রীটি দুপুর ২টায় মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে যায়। এরপর শিশুটি ভয়ে এ ঘটনা কাউকে জানায়নি। দুপুরের পর সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বড় বোন তার কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পারে।

শিশু মেয়েটির মা শাহরাস্তি থানায় মামলা করেন। মামলা পর শাহরাস্তি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ওহিদুজ্জামান দীপুকে আটক করে।

অভিযুক্ত ওহিদুজ্জামান দীপু পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

স্থানীয়রা জানায়, ওহিদুজ্জামান গত বছর বাত্ত্বলা মিয়াজী বাড়ি জামে মসজিদে মোয়জ্জেন হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তিনি বাত্ত্বলা তালীমূল কোরআন নুরানী মাদ্রাসায় শিক্ষকের দায়িত্ব নেন। মাদ্রাসাটিতে তিনিই একমাত্র শিক্ষক।

ওহিদুজ্জামান বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার চর আটজুড়ি গ্রামের বাশার মোল্লার ছেলে।

ওহিদুজ্জামান বাত্ত্বলা গ্রমের মিয়াজী বাড়ির হুমায়ূনের ঘরে পরিবার সহকারে বসবাস করে আসছেন।

(ঢাকাটাইমস/৩আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :