শেবাচিমে নার্সদের কর্মবিরতি, গাইনি ওয়ার্ডে রোগীর মৃত্যু
সাত মাসের শিশু সন্তানসহ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের এক সিনিয়র স্টাফ নার্স ও তার স্বামীকে আটক করার ঘটনায় দুইঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন নার্সরা। পাশাপাশি বিক্ষোভও করেছেন হাসপাতালে কর্মরত নাইট শিফটের শতাধিক নার্স। কর্মবিরতি চলাকালে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি গুরুতর অসুস্থ এক নারী চিকিৎসা সেবার অভাবে মারা গেছেন বলে স্বজনরা অভিযোগ করেছেন। নিহত নারীর নাম রহিমা বেগম।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি পালন করেন নার্সরা। পরে পুলিশের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয় নার্স নেতৃবৃন্দ।
স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের (স্বানাপ) শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক সেলিনা পারভীন বলেন, সকালে আমাদের সিনিয়র স্টাফ নার্স এলিজা বেগম তার শিশু সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসকের কাছে দ্রুত চিকিৎসার জন্য যান। এ নিয়ে এলিজার স্বামী শাহ আলমের সাথে চিকিৎসকের ঝামেলা হয়। এসময় চিকিৎসককের গায়ে হাত তোলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে পুলিশ এলিজার স্বামী ও অসুস্থ সাত মাসের শিশু সন্তানসহ এলিজারকে থানায় নিয়ে হাজতে রাখে।
তিনি বলেন, আমরা দোষীর শাস্তি চাই। কিন্তু যে নিরপরাধ তার মুক্তি চাই।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার ফরহাদ সরদার বলেন, আমরা মানবিক দিক বিবেজনা করে আপাতত নার্স এলিজা বেগমকে তার শিশু সন্তানসহ হাসপাতালের নার্সদের হাতে তুলে দিয়েছে। এছাড়া বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সাত মাস বয়সী ওই শিশুটির নাম শামির। থানা থেকে শিশুটিকে শিশু ওয়ার্ডে এবং দুর্বল থাকায় নার্সকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে নার্সদের দুই ঘণ্টাব্যাপী কর্মবিরতির ফলে বেশ ভোগান্তিতে পরে হাসপাতালের হাজার হাজার রোগী। অভিযোগ উঠেছে নার্সদের কর্মবিরতির ফলে এক রোগীর মৃত্যু হয়।
গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি মৃত ওই নারী পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের চাঁদকাঠি গ্রামের সোহাগের স্ত্রী।
মৃত রাহিমার চাচাতো বোন শিউলী ঢাকাটা্জইমসকে জানান, অনেকক্ষণ ধরে গুরুত্বর হাসপাতালের বেডে কাঁতরাচ্ছিলেন অসুস্থ রাহিমা। কিন্তু কর্মবিরতির কারণে নার্সদের পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে ওর মৃত্যু হয় চিকিৎসার অভাবে।
(ঢাকাটাইমস/০৪আগস্ট/টিটি/ইএস)