অতি সাধারণ এক সাংবাদিকের কথা-৩৫

আলম রায়হান
 | প্রকাশিত : ০৪ আগস্ট ২০১৭, ১০:০৮

সকাল ১১টার কিছু পর প্রিজনভ্যান এলো। এক নারীসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে সরকারি ব্যবস্থাপনায় শুরু হলো আমার আদালত যাত্রা। পথে আরও দুটি থানা অথবা ফাঁড়ি থেকে আসামি তোলা হয়। এরপর ভ্যান থামলো আর এক থানার সামনে, পরে শুনেছি এটি ছিলো সবুজবাগ থানা। এর আগেই ‘মুরগি ঠাসা’ হয়ে গেছে কোনোরকম চলমান সরকারি যানটি। এ থানা থেকে যাদের তোলা হলো তাদের মধ্যে একজনকে দেখে আমার তো হা হয়ে যাবার অবস্থা। প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। পরে বুঝলাম ঠিই দেখেছি, মাহমুদ হাসান। এদিকে মাহমুদও আমাকে দেখে অবাক হলো। আমি জানতাম না, মাহমুদ আসামি, সেও জানতো না আমার বিষয়ে।

মির্জা আব্বাস আমাকে আসামি করেছিলো মশা নিয়ে রুহুল ভাইয়ের কলামের কারণে। মাহমুদকে আসামি করা হয়েছিলো সুইপারদের আন্দোলন দমনে যুবদলের ক্যাডারদের নিয়ে মেয়রের বৈঠক করার প্রতিবেদনের জন্য। এখন যেমন ক্যাডার দিয়ে তুলে এনে ছাত্রী ধর্ষণ করা হয়, শিক্ষকরা ছাত্র প্যাদায়। তখন এ বাহিনী ব্যবহার করা হতো রাজনীতি ও প্রশাসনে দমনের জন্য। মাহমুদ সুগন্ধায় নিয়মিত কন্ট্রিবিউট করতো। এদিকে সকালের খবরের রিপোর্টার হিসেবে জেনারেল মীর শওকত আলীর সঙ্গে সংযুক্ত ছিলো। তখন রাজনীতিতে মীর শওকত ছিলেন খুবই তৎপর। বিশেষ করে তার নির্বাচনী এলাকা লালবাগে বেশ তৎপর ছিলেন সাবেক এ জেনারেল। আর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি জেনারেলের মেজাজ ও ডিসিপ্লিনে কাটিয়েছেন। ঢাকা মানগর বিএনপির সভাপতি হিসেবে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো প্রোগ্রাম থাকতো জেনারেল শওকতের। একইসঙ্গে তিনি তার নির্বাচনী এলাকা লালবাগেও জনসংযোগ চালাতেন নিয়মিত।

মাহমুদ হাসানকে আমিই নিয়েছিলাম সকালের খবরে। সে সময় পত্রিকাটির অফিস ছিলো শান্তিনগরে। একদিন বিকালে অফিস থেকে বের হওয়ার সময় রাস্তায় তার সঙ্গে দেখা। মোজাম্মেল ভাই সুগন্ধা স্টাইলে সাপ্তাহিক সূর্যোদয়ও হঠাৎ পরিত্যাগ করেছিলেন। এরপরও পত্রিকাটি চালিয়ে রেখেছিলেন মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী। কিন্তু কয়েকমাসের মধ্যে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়লেন। সাপ্তাহিক সূর্যোদয় বন্ধ হয়ে গেলো। এর ফলে যারা হঠাৎ বেকার হয়ে গেলেন তাদের মধ্যে মাহমুদ হাসানও ছিলো। এ অবস্থায় সে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মঞ্জুর বিশ্বাসের সাপ্তাহিক নাগরিকে কন্ট্রিবিউটর হিসেবে পেশায় টিকে থাকার চেষ্টা করছিলো।

রাস্তায় হঠাৎ দেখা হওয়ায় আমরা দুজনই বেশ খুশি হলাম। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই জানলাম মাহমুদ বেকার। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো। সে বললো, আমার একটা জব দরকার ভাই। আমি আর বাইরে গেলাম না; তাকে নিয়ে ঢুকলাম অফিসে; নিয়ে গেলাম সোজা রুহুল ভাইর কাছে। বললাম, রুহুল ভাই মাহমুদ আমার খুবই কাছের ছোট ভাই, তার একটা চাকরি দরকার। আমার কথার কোনো উত্তর দিলেন না রুহুল ভাই। তিনি অনর্গল কথা বলার লোক। কিন্তু মাঝেমধ্যে ‘অদ্ভূত এক আধারের’ মতো চুপ করে থাকতে পারতেন। মাহমুদকে ১৫ সেকেন্ড পর্যবেক্ষণ করে এমনভাবে চুপ হয়ে গেলেন, যেনো আমি তাকে কিছুই বলিনি। এরপর তিনি লেখার কাজে মন দিলেন। আমি বিরক্ত, মাহমুদ সম্ভবত হতাশ। প্রায় দশ মিনিট পর বললেন, ঠিক আছে বসিয়ে দেও। মাহমুদ হাসানের যাত্রা শুরু হলো দৈনিক সকালের খবরে।

তবে তার এ যাত্রা ঝঞ্চামুক্ত ছিলো না। দিন পনেরর মধ্যেই তার বিরুদ্ধে গ্রুপিং শুরু হলো। যদিও এমনটি হবার কোনো কারণ ছিলো না তার বেলায়, তবু হয়েছে। আমাকে প্রতিপক্ষ ভেবে ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করার মতো মাহমুদের পেছনে লেগেছিলো দুলাল আমেদ নামে এক সাংবাদিক। প্রায় শেষ বয়সে সকালের খবরই ছিলো তার সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। তিনি আরও পাবার জন্য মরিয়া ছিলেন। এ অবস্থায় তার ধারণা হলো, আমি দল ভারি করছি। মাহমুদের কয়েকদিন পর সেলিম ভাইকে বার্তা সম্পাদক হিসেবে নেয়ায় এ ধারণা বদ্ধমূল হয়েছিলো দুলাল গ্রুপের। অথচ বাস্তবতা এর কাছেও ছিলো না। আমি তখন সুগন্ধার নির্বাহী সম্পাদক এবং একপ্রকার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। এর পরও সকালের খবরে কাজ করার কারণ ছিলো একটি দৈনিকের সঙ্গে যুক্ত থাকা আর কিছু পয়সা পাওয়া; এর বেশি কিছু নয়। ফলে সঙ্গত কারণেই সকালের খবরকেন্দ্রিক আমার কোনো আকাঙক্ষা ছিলো না। এছাড়া মজ্জাগত কারণেই অনিয়ন্ত্রিত আকাঙক্ষার রিপু দ্বারা আমি নিয়ন্ত্রিত হই না। কিন্তু চিফ রিপোর্টার হবার জন্য মরিয়া দুলাল ভাই আদাজল খেলে লাগলেন লক্ষ্য হাসিলের জন্য।

এদিকে রুহুল ভাই দুলাল আমেদকে অজ্ঞাত কারণে পছন্দ করতেন। কিন্তু তাকে চিফ রিপোর্টার হিসেবে হাইজে ‘খাওয়ানো’ নিয়ে তার সংশয় ছিলো। এ অবস্থায় একদিন রুহুর ভাই বললেন, আলম এক কাজ করো; তুমি আর দুলাল দুজনই চিফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব নেও। তার প্রস্তাব শুনে আমার তো ‘খিস’ খাবার অবস্থা। একেতো অতিরিক্তি লোড নেয়ার অবস্থা আমার ছিলো না। এর উপর, সে সময় এক পত্রিকায় একাধিক চিফ রিপোর্টার থাকার রেওয়াজ তখন চালু হয়নি। যা দৈনিক আমাদের সময় দিয়ে সফলভাবে চালু করেছেন নাঈম ভাই; নাঈমুল ইসলাম খান।

আমি রুহুর ভাইয়ের প্রস্তাবে রাজি হইনি। বললাম, চিফ রিপোর্টার হওয়ার বিষয়ে আমার কোনো আগ্রহ নেই। আমি লোড বাড়াতে চাই না। দুলাল ভাইকে করে দেন। রুহুল ভাই চুপ থাকলেন। তবে শেষতক তিনি দুলাল ভাইকে চিফ রিপোর্টার করেননি, কারণ হাউজের গ্রহণযোগ্যতার বাইরেও তিনি জেনারেল শওকতের রুচির বিষয়ে অবগত ছিলেন। এদিকে দুলাল গ্রুপ মরিয়া হয়ে উঠলো। কিন্তু তেমন কিছুই করতে পারছিলো না। এ অবস্থায় হরিণ ছেড়ে ফড়িং ধরার মতো সে লাগলো আমার সুপারিশে আসা লোকদের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে সদ্য যোগদানকারী মামুদের ব্যাপারে রুহুল ভাইকে কনভিন্সড করে ফেললো। এদিকে রুহুল ভাই আমার উপর কিঞ্চিত নাখোশ ছিলেন দ্বৈত চিফ রিপোর্টার হিসেবে তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়। কাজেই তিনি সুযোগ নিলেন। একদিন মাহমুদের ব্যাপারে নাটকীয় হতাশা প্রকাশ করে বললেন, ওকে না বলে দাও, আমি প্রমাদ গুণলাম। বুঝলাম, গুটি কোথা থেকে হয়েছে। কৌশলগত পিছিয়ে বললাম এক কাজ করেন, জেনারেল সাহেবের তো প্রতি দিনই প্রোগ্রাম থাকে। কেউ যেতে চায় না, একএক দিন একএক জনকে পাঠাতে হয়। এতে প্রায়ই ঝামেলা লাগে। ভালো হয়, মাহমুদকে জেনারেল সাহেবের সঙ্গে এটাস্ট করে দিলে। সেখানে টিকলে ভালো, না টিকলে তার কপাল। রুহুল ভাইও একটু পেছানোর সনাতনী কৌশলের সূত্রে রাজি হলেন। লক্ষ্য ছিলো, ‘এও পারে না’ বলে মাহমুদকে বাদ দেয়া।

কিন্তু মাহমুদ বাদ হয়নি, বরং সে আরো শক্তিশালী হয়েছিলো। এক পর্যায়ে সে দৈনিক সকালের খবরের বিভিন্ন বিষয় সিদ্ধান্ত নেবার এখতিয়ার হলো তার। সুগন্ধায় থাকাকালেই আমাকে সকালের খবরের চিফ রিপোর্টার হতে হয়েছে। তখন রুহুল ভাইয়ের পরিবর্তে পত্রিকার দায়িত্বে ছিলেন সুভাষ সাহা। তিনি এখন আছেন দৈনিক সমকালে। এদিকে দ্বিতীয়বার সকালের খবরে আমার যোগদান ও চিফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব নেবার ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করেছে মাহমুদ হাসান। তখন সে খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত জেনালের শওকতের এপিএস ও বিশ্বস্ত লোক।

মাহমুদ হাসানের বিরুদ্ধে দুলাল গং যে গ্রুপিং করেছিলো শেষপর্যন্ত তা শাপেবর হলো। জেনালের শওকত রিপোর্টার ও আচার আচরণের দিক থেকে তাকে বেশ পছন্দ করে ছিলেন শুরুতেই। তিনি ডিসিপ্লিন খুবই পছন্দ করতেন। কল্পনাতীত পরিশ্রম করার ক্ষমতা ও ডিসিপ্লিন-এর কারণে মাহমুদকে জেনারেল শওকত বেশি পছন্দ করেছিলেন। অথচ বার্তা সম্পাদক হিসেবে ইন্টারভিউতে বোর্ডের সকল সদস্যের বিবেচনায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে সিলেক্ট হলেও মাহমুদ হাসানকে পছন্দ করেননি মাই টিভি’র নীতি নির্ধারণী কর্তৃপক্ষ। মামুদকে জেনারেল শওকত এতোই পছন্দ করেছিলেন যে, মাস দুই পর মন্ত্রী হয়ে মাহমুদকে সব সময় কাছে রাখার জন্য এপিএস করলেন। সরকার পরিবর্তন হওয়ায় মাহমুদ আবার পেশায় ফিরলো। টেলিভিশন সাংবাদিকতায়ও সে বেশ ভালো করেছে। আরটিভি’র সূচনালগ্নে রিপোর্টার হিসেবে শুরু করে চ্যানেল ওয়ান হয়ে বার্তা সম্পাদক হয়েছে দিগন্ত টেলিভিশনে। সোনারগাঁও হোটেলে আরটিভি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাহমুদ হাসান যে সম্মানে আমাকে রিসিভ করেছিলো তা আজকাল সন্তানও পিতাকে করে কিনা তা নিয়ে সংশয়ের যথেষ্ট কারণ আছে।

১৯৯৩ সালে সেদিন মাহমুদ হাসানকে প্রিজনভ্যানে দেখে আমি খুবই লজ্জিত হয়েছিলাম। ভাবলাম, আমার জন্যই তার এ অবস্থা। কিন্তু কিছুক্ষণ পর বুঝলাম, আমার লজ্জা পাবার কোনো কারণ ছিলো না। কেননা, মাহমুদ পুরো বিষয়টি বেশ উপভোগ করছিলো।

মাহমুদ হাসানকে বাসা থেকে পুলিশ আটক করে রাত দেড়টার দিকে। গভীর রাতে ঘুম থেকে তুলে আনলেও থানায় বসে আন্তরিকতার নাটক করেছিলো ওসি। তাকে অবশ্য হাজতখানায় ঢুকানো হয়নি। রাখা হয়েছিলো ওসির রুমে। এ ফাঁকে ওসির ফোন দিয়েই জেনারেল শওকতের সঙ্গে কথা বলে মাহমুদ। ওসিকেও ধরিয়ে দেয়। মেয়রের দোহাই দিয়ে কোনোরকম পরিস্থিতি সামাল দেয় ওসি।

তখন রাজধানীতে এতো যানজট ছিলো না। কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা আদালতে পৌঁছলাম। আমাদের রাখা হলো হাজতের দুই কক্ষে। বিকালে দুজকে একসঙ্গে আদালতে তোলা হয়। পাঁচ মিনিটের শুনানিতে জামিন। অথচ একই ধরনের ধারায় বটতলার এক উকিলের মামলায় বরিশালে ইউএনও তারিক সালমনের জামিন বাতিল করা হয়। মামলার হয়রানি থেকে তাকে বাঁচাতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু আমরা ক্ষমতাসীন দলের অতি ক্ষমতাধর মেয়রের মামলায় আদালতের প্রটেকশন পেয়েছি বিচারিক নিয়মেই। অথচ সেই একই আইন বিরাজমান; আর সে সময় বিচার বিভাগের ললাটে স্বাধীনতার তকমাও লাগেনি। এরপরও ক্ষমতাসীন দলের ডাকসাইটে নেতার মামলায় অতি নগন্য দুই সাংবাদিককে জামিন দিতে কোনো রকম দ্বিধা করেননি সেদিনের ম্যাজিস্ট্রেট।

জামিন পেয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচলেও মেয়রের মামলা থেকে তো সহজে রেহাই পাবার কথা নয়। মামলা চললো। মামলার এক তারিখে আদালতের বারান্দায় হঠাৎ দেখা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সঙ্গে। দৈনিক নবঅভিযানে কাজ করার সময় আওয়ামী লীগ বিট করতাম। তখন অ্যাডভোকেট কামরুলের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা। আদালতের বারান্দায় আমাকে দেখে খুবই অবাক হয়ে বললেন, এখানে কী?

: মামলায় পড়েছি!

: কার?

: মির্জা আব্বাসের।

: বলেন কি!

আমার কথা শুনে অ্যাডভোকেট কামরুল উদ্বিগ্ন হলেন। বললেন, কোন কোর্টে? আমার জন্য নির্ধারিত আদালত কক্ষের সামনের বারান্দায় দাঁড়িয়েই কথা বলছিলাম। এ সময় আমাদের মামলা উঠলো। আমি তাড়াহুড়া করে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ালাম। অ্যাডভোকেট কামরুল দাঁড়লেন আমাদের উকিলের সঙ্গে। কেবল মন্ত্রী আর নেতা হিসেবে নয়, আইনজীবী হিসেবেও কামরুল ইসলামের ভয়েস ছিলো জোরালো। আমাদের নির্ধারিত উকিল চুপ থাকলো। যা কিছু বলার তা অ্যাডভোকেট কামরুলই বললেন। অবস্থা বেগতিক দেখে এক পর্যায়ে মির্জা আব্বাসের উকিলও পিছুটান দিলেন। ‘সিনিয়র এসে পৌঁছাননি’ বলে তিনি সময় প্রার্থনা করলেন, এদিকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন ম্যাজিস্ট্রেট।

মামলার আবারও তারিখ পড়লো। বাইরে এসে কামরুল ইসলাম বললেন, হাইকোর্টে যান, লোয়ার কোর্টে ঝামেলা হতে পারে। মির্জা আব্বাস কিন্তু লোক ভালো না; হামলাটামলা করতে পারে। তিনি বিদায় নেবার সময় মোয়াজ্জেম সাহেব আমাকে ইশারা করলেন। আমি ভদ্রতার গোপনীয়তার খোলসে অ্যাডভোকেট কামরুলকে টাকা দিতে চাইলাম। কিন্তু তিনি এমনভাবে রিফিউজ করলেন যে, আমার গোপনীয়তার অবস্থা হলো তাসের ঘরের মতো। আমি অনেকটা হাতাহাতির মতো অবস্থা করেও সফল হইনি। সেই আমার প্রথম অভিজ্ঞতা, উকিল টাকা নেয় না!

লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

মতামত বিভাগের যেকোনো লেখার জন্য সম্পাদক দায়ী নয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :