নড়াইলে চার দিন পর কাঠমিস্ত্রির লাশ উত্তোলন

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০১৭, ২০:০৬

নড়াইল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নড়াইল সদরের সিঙ্গাশোলপুর গ্রামে কাঠমিস্ত্রি নির্মল রায়কে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আদালতের নির্দেশে আবার সুরতহাল রিপোর্টের জন্য সমাধিস্থল থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে সদরের বড়গাতি শ্মশান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।

সমাধিস্থল করার চারদিন পর নির্মলের লাশ উত্তোলন করা হলো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট আজিম উদ্দীন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, পরিদর্শক (তদন্ত) জুলফিকার আলী, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই ভবতোষ, সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখ, নির্মল রায়ের স্ত্রী সুনিতা রায়, ছেলে নৃপেন রায়সহ পরিবারের সদস্যরা।  

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী উত্তম ঘোষ জানান, স্থানীয় মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল নিহতের শরীরের বাম উরুতে একটি কালো দাগের কথা সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন।

কিন্তু নির্মলের স্ত্রী সুনিতা জানিয়েছেন, লাশের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ কারণে মামলার বাদী গণেশ রায় (নির্মলের ভাইপো) লাশ উত্তোলন করে আবার সুরতহাল রিপোর্ট করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। এর ভিত্তিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল আজাদ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকালে নির্মল রায়ের লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন। 

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ জুলাই নির্মল রায় প্রতিবেশী মিল্টন কাজীর স্ত্রী লাবনীকে তাদের বাড়িতে কাঁঠাল খাওয়ার কথা বলেন। এ ঘটনায় মিল্টন ক্ষুব্ধ হয়ে পরের দিন (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় নির্মলকে তাদের বাড়ির পাশে পেয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। তবে, নির্মলের স্ত্রী সুনিতা রায় জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মিল্টন কাজী ও তার সহযোগীরা তার স্বামীকে পিটিয়ে আহত করে। এরপর স্থানীয় বাজারে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেয় নির্মল। এক পর্যায়ে গত রবিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

এদিকে, নির্মল হত্যার অভিযোগে মিল্টন কাজী ও তার মা ফিরোজা বেগমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৪আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)