বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না: দোলন

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০১৭, ০৮:৪৬ | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০১৭, ১৫:৪২

মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম, ঢাকাটাইমস

বঙ্গবন্ধুর যদি জন্ম না হত আজকে আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না বলে মন্তব্য করেছেন সমাজ সেবামূলক সংস্থা ‘কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘ঢাকাটাইমস’ও সাপ্তাহিক ‘এই সময়’সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন।

শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কুচিয়াগ্রাম বটতলা বাজারে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গোপালপুর ইউপি আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকের মাস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরিফুর রহমান দোলন বলেন, বঙ্গবন্ধুর যদি জন্ম নাহত আজকে আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না। এমন একজন মহান নেতা যেই নেতার সৃষ্টি না হলে এ অঞ্চল এভাবে আলোকিত হত না। আমরা হয়তো সেই পরাধীনতার মধ্যেই থাকতাম। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়া। সেই সোনার বাংলা গড়ার জন্য তার মেয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হবে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা। তিনি যে কাজগুলো করছেন তাকে সমর্থন জানানো। আগামীতে তিনি যেন আবারও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন সেই ব্যাপারে আমাদের ভূমিকা রাখা।

দোলন আরও বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। এই মাসে আমরা হারিয়েছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আপনারা সবাই এই মানুষটির জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করবেন। যিনি আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন সেই জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মাকে আল্লাহ যেন শান্তিতে রাখেন। কুচক্রী ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশের জনককেই শুধু হত্যা করেনি তারা আমাদের স্বাধীনতাকেও হত্যা করতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা পরম করুনাময় আল্লাহর রহমতে সেদিন প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন বিদেশে ছিলেন বলে। আজ যদি বঙ্গবন্ধু কন্যা জীবিত না থাকতেন উনি যদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী না থাকতেন এই যে আমাদের এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার বইছে এবং আগামীতে আরো উন্নয়নের স্বপ্ন আমরা দেখছি এটি কোনো ভাবেই সম্ভব হত না।

বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ১ আগস্ট আমার সুযোগ হয়েছিল বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর স্মরণসভায় যাওয়ার। প্রতি বছরই কৃষক লীগের এই অনুষ্ঠান দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা আগস্ট মাসের কর্মসূচি শুরু করেন এবং সেই কর্মসূচিতে থাকার এবং খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল। স্মরণসভাটি যখন শেষ হলো বঙ্গবন্ধু কন্যা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটিতে ঢুকলেন। উনার সঙ্গে মাত্র আট থেকে নয় জন নেতা ওই বাড়িতে ঢোকার সুযোগ পেয়েছিলেন। আমি অধম আরিফুর রহমান দোলনেরও সুযোগ হয়েছিল বঙ্গবন্ধু কন্যার সঙ্গে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটিতে ঢোকার। কোনো এক পর্যায়ে আলফাডাঙ্গা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন আমার আলফাডাঙ্গা টুঙ্গীপাড়ার থেকে কোনো অংশে আমাদের কাছে কম প্রিয় নয়। আমার কিন্তু বুকটা ভরে গিয়েছিল। উনি এতখানি আলফাডাঙ্গাকে পছন্দ করেন ভালোবাসেন। শোকের মাস তারপরেও তিনি যে গর্বভরে আলফাডাঙ্গার নামটি মুখে উচ্চারণ করলেন এর মধ্যে দিয়েই প্রমাণ হয় তার হৃদয়ে আমাদের অবস্থান কতখানি। অতীতে আমাদের আলফাডাঙ্গার কথাটি নেত্রীর কানে পৌঁছানোর কোনো ব্যবস্থা ছিলো কি না আমি জানি না। কারণ যিনি আমাদের আলফাডাঙ্গাকে এতখানি ভালোবাসেন সেই আলফাডাঙ্গার উন্নয়ন তো অনেক আগেই হয়ে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু হয়নি তবে এখন হচ্ছে।

আরিফুর রহামন আরও বলেন, আমি গত(বৃহস্পতিবার) শিক্ষাবোর্ডে গিয়েছিলাম। আমি যখন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকে আমার কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমিতে কেন্দ্র স্থাপনের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে বললাম। আগেই আমরা আবেদন জানিয়েছি। উনি তৎক্ষণাত বললেন ঢাকা বোর্ডের অধীনে যদি একটি সেন্টারও আগামীতে হয় তাহলে সেটি হবে কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমি। এর মধ্যে দিয়ে আপনারা বুঝে নেন এই অঞ্চল বর্তমানে কতখানি গুরুত্ব পাচ্ছে।

ঢাকাটাইমস সম্পাদক দোলন বলেন, অনেকেই এখানে আমাকে বলেছেন আগামী সংসদ নির্বাচনে আমি যেন টিকিট নিয়ে আসি। আমি কিন্তু আসলে সংসদ সদস্য হওয়ার জন্যে বা কোনো পদের জন্যে মানুষের জন্য কাজ করছি না। আমি আমার পূর্ব পুরুষের ইতিহাস, সমাজ কর্ম করার ইতিহাস, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইতিহাস, মানুষকে বুকে টেনে নেয়ার ইতিহাস এবং তাদের সেই কাজকে আমি আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। মানুষকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে নিজেকে আরও বিকশিত করতে চাই। এর পরেও যদি আপনাদের মনে হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনে হয় এই ছেলেকে এই জায়গাতে রাখা দরকার তাহলে তিনি সেটি করবেন। কিন্তু আমি কোনো পদের জন্যে কাজ করছি না। আমি সেটি আপনাদের পরিষ্কার করলাম।

সভায় গোপালপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান ইকুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য শেখ শহীদুল ইসলাম শহীদ, আলফাডাঙ্গা পৌর কৃষক লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত কামাল নান্নু, গোপালপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিন্টু, গোপালপুর ইউপি সদস্য আব্বাস উদ্দিন, আওয়ামী লীগ মনোনীত গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইনামুল হাসান প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/৫আগস্ট/প্রতিনিধি/জেডএ)