স্মৃতির পাতায় শেখ কামাল-২

আমরা ওই আবদার না করলে শেখ কামালও বেঁচে থাকতে পারতেন

মহিবুল ইজদানী খান ডাবলু
| আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০১৭, ১০:২৯ | প্রকাশিত : ০৬ আগস্ট ২০১৭, ০৮:৩৭

কামাল ভাই ও নুরু ভাই কখনও কখনও আমাদের সাথে ৩২ নম্বরের বাসার নিচ তালার ড্রয়িং রুমে বসে নগর ছাত্রলীগের রাজনীতি নিয়ে আলোচনায় বসতেন। আলোচনার এক পর্যায়ে কামাল ভাই আমাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘তোদের উপর আমার অনেক আশা, অনেক স্বপ্ন।’

কামাল ভাই যখন আমাদের সাথে কথা বলতেন তখন তিনি তার ইয়া লম্বা কালো মোচে হাত দিয়ে তা দিতেন আর কালো চশমার ফাঁক দিয়ে আমাদের সকলের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাতেন। কখনো কখনো মিটি মিটি হাসি আবার কখনো কখনো উদ্বেগের সাথে আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন।

এধরনের সভায় কোনো কোনো সময় কামাল ভাইয়ের আরেকজন প্রিয় ব্যক্তি হেমায়েত উদ্দিন আওরঙ্গও উপস্থিত ছিল। আওরঙ্গকে কামাল ভাই জীবিত থাকাকালীন পর্যন্ত সবসময় কাছে রেখেছিলেন। যে কারণে আওরঙ্গের সাথে আমাদের ঘনিষ্ঠতা ছিল একটু বেশি। এছাড়া ঢাকার গেন্ডারিয়ার প্যাটেল ভাইও (খুব সম্ভবত বর্তমানে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে সম্পর্ক রয়েছে) কামাল ভাইয়ের একান্ত আপন সাথী ছিলেন।

জাসদ ছাত্র লীগের অপপ্রচার

বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আলবদরেররা কামাল ভাই সম্বন্ধে নানা অপপ্রচার ছড়াত। এ ধরনের কাজ তৎকালীন বিরোধী দল জাসদ ও তার সমর্থিত ছাত্র সংগঠন থেকেও করা হতো। আর তার সাথে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিরও ছিল হাত। আজকে এদের অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত হয়ে বড় বড় পদ নিয়ে বসে আছেন। মন্ত্রীও হয়েছেন। অথচ ওই সময় এদের সাথেই ছিল আমাদের মূল লড়াই, সরাসরি দ্বন্দ্ব।

এদের অনেকে ওই সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সম্বন্ধেও নানা সমালোচনা করতে গিয়ে অনেক কটূ কথা বলতেন। তাদের ভাষণ শুরু হতো বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করে। আজকের রাজনীতিতে এরা এখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী সৈনিক হয়ে আওয়ামী লীগে স্থান করে নিয়েছেন।

ইদানীং এদের একজন আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গিয়ে পুনরায় সমালোচনা মুখর হয়ে পড়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের টিকিটে কয়েকবার নমিনেশন পেলেও জয়ী হতে পারেননি। আরেকজন এখনো আওয়ামী লিগে নিজের আসন পাকাপোক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি যখন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক তখন তিনি ছিলেন জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক। আর এখন তিনি আওয়ামী লীগের বড় নেতা।

কামাল ভাইকে বিদেশে পাঠানোর চিন্তা

জাসদ ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির অপপ্রচারে প্রভাবিত হয়ে একসময় বঙ্গবন্ধু কামাল ভাইকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। এসকল দুষ্ট লোকেদের মিথ্যা প্রচারণার কথা আওয়ামী লীগের ভেতরে থাকা সুযোগ সন্ধানীরা বঙ্গবন্ধুর কানে দেয়। বঙ্গবন্ধু তাদের কথায় কিছুটা প্রভাবিত হন এবং কামাল ভাইকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার চিন্তা করেন । ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ থেকে আমরা কয়জন নুরু ভাইয়ের নেতৃত্বে এ ব্যাপারে প্রতিবাদ জানাতে একদিন ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসায় গিয়ে হাজির হলাম। কামাল ভাইকে বিদেশে পাঠাবেন বলে বঙ্গবন্ধু ইতিমধ্যে মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলেন। আমরা বঙ্গবন্ধুকে বললাম, ‘কামাল ভাই আমাদের নেতা। ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ কামাল ভাইয়ের নিজের হাতে গড়া সংগঠন। কামাল ভাই বিহীন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ অচল। তাছাড়া কামাল ভাই সম্পর্কে আপনি যা জানতে পেরেছেন, শুনেছেন আসলে তা সত্য নয়। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। সিটি ছাত্রলীগের প্রাণ তিনি।’

জাতির পিতার কাছে অনেক আবদার করাতে শেষ পর্যন্ত তিনি সেদিন আমাদের আবদার মেনে নিয়েছিলেন। কামাল ভাইয়ের বিদেশে যাওয়া আর হয়নি। পচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরবর্তীতে আমার বার বার মনে হয়েছে, সেদিন যদি কামাল ভাইকে বঙ্গবন্ধু বিদেশ পাঠাতেন তাহলে হয়ত আজ তিনি আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকতেন। ঠিক আজকে যেমন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছোট বোন শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে আছেন।

সোবহানবাগ কলোনির ঘটনা

সোবহানবাগ কলোনির সাত নম্বর বাড়ির এক পাশের দোতলায় বাবলুদের বাসা। বাবলুর ছোট বোন রোজীকে বিয়ে করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ জামাল। রোজীর আরেক পরিচয়, বঙ্গবন্ধু তার মামা। একদিন বিকেল বেলা রিকশায় করে সোবানবাগ কলোনিতে ঢুকতেই দেখি, কামাল ভাই ও আওরঙ্গ দাঁড়ান।

সোবহানবাগ কলোনির ১ নম্বর ভবনের দোতলায় থাকতেন জনৈক সরকারি অফিসার, যার আপন চাচা ছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনসুর আলী। এই অফিসারের স্ত্রী ছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা আনোয়ার হোসেনের ছোট বোন। তবে সেদিনের ঘটনাটা তাদের নিয়ে নয়। খাজা নামে মনসুর আলীর আরেক ভাতিজাও বাস করতেন এই বাসায়। এই খাজার সাথে রোজির বড় ভাই বাবলুর একটি বিষয় নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে চরম অবস্থা বিরাজ করছিল। যে কোনো সময় যে কোনো ঘটনা ঘটার পরিস্থিতি অপেক্ষা মাত্র। তাই কামাল ভাই এখানে এসেছেন একটা মীমাংসা করার জন্য।

কলোনিতে প্রবেশ করে সরাসরি কামাল ভাইয়ের সাথে কথা না বলে সবকিছু জানতে পারলাম আওরঙ্গের কাছ থেকে। পরে কামাল ভাইয়ের মুখোমুখি হলে সালাম দিয়ে পাশে দাঁড়ালাম। কুশলাদি জানার পর সংগঠনের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত কিছু কথা বললেন। এই সময় কামাল ভাইকে খুবই উত্তেজিত ও চিন্তিত মনে হচ্ছিল। দুই পরিবারের সমস্যা নিয়ে তিনি খুব চিন্তিত ছিলেন।

আওরঙ্গ আমাকে ইশারা দিয়ে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে যেতে বলল। বুঝতে পারলাম, পরিস্থিতি মোটেও ভালো নয়। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো কিছু ঘটার পূর্বেই কামাল ভাই তার বুদ্ধি ও দক্ষতার বলে সব কিছু সামাল দিতে পেরেছিলেন। তিনি বাবলু ও খাজাকে একত্রিত করে মিল করে দিতে সামর্থ হয়েছিলেন।

এখানে উল্লেখযোগ্য যে বাবলু ও খাজা দুজনই আমার ঘনিষ্ট বন্ধু। সেদিন কামাল ভাই এই কাজটুকু না করলে যে কোনো একটা বিরাট কিছু ঘটার আশঙ্কা ছিল। শুনেছি বাবলু এখন ব্যবসায় জড়িত আর খাজা সম্ভবত সরকারি কাজ থেকে অবসর নিয়েছে।

ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়ার আন্দোলন

১৯৭৪ সাল। আমি তখন বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র। এই সময় একবার ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার অজুহাত ধরে ছাত্ররা বড় ধরনের আন্দোলন শুরু করে। জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগ এই আন্দোলনকে সমর্থন করে পুরো ঢাকা শহরের নেতৃত্ব হাতে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। শুধু তাই নয়, তারা এটাকে একটা রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করতে থাকে। তখন কামাল ভাই ও নুরু ভাই ছাত্রলীগ অফিসে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আমাকে ডেকে এই বেআইনি ও যুক্তিবিহীন আন্দোলনকে প্রতিহত করার দায়িত্ব অর্পণ করেন।

আমি সাথে সাথে নিউমার্কেটের আসে পাশের কলেজগুলোর ছাত্র নেতাদের একত্রিত করে এই আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার একটা কৌশল নিয়ে আলোচনা করি। কারণ, সংখ্যাগরিষ্ঠ ছাত্র-ছাত্রীরাই পরীক্ষা পেছানোর বিপক্ষে ছিল। তাছাড়া যারা পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলো তাদের তেমন কোনো শক্ত কারণও ছিল না।

কামাল ভাই আর নুরু ভাইয়ের নির্দেশে আমি আব্দুস সামাদ পিন্টু (বর্তমানে মহাসচিব মুক্তিযুদ্ধা সংহতি পরিষদ), আব্দুস সালাম (বর্তমানে কেনাডা প্রবাসী) মোশারফ হোসেইন কাজল (বর্তমানে সরকার পক্ষের উকিল)। নাজমা আখতার (বর্তমানে কেনাডা প্রবাসী ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক) পারভীন সুলতানাসহ (বর্তমানে লন্ডন প্রবাসী) আরও অনেককে সাথে নিয়ে পরীক্ষা না পেছানোর আন্দোলন গড়ে তুলি।

পরীক্ষা না পেছানোর আন্দোলনকে জোরদার করার লক্ষ্যে আমি একটি কমিটি গঠন করে দেই। তবে কমিটিতে আমরা না থেকে যারা ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্রছাত্রী তাদের রাখা হয়। খুব তাড়াতাড়ি আমাদের আন্দোলন শক্তিশালী রূপ ধারণ করে। পরে আমাদের এই আন্দোলন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পরে।

একদিন আমরা এক বিরাট মিছিল নিয়ে ঢাকা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে সমবেত হই। এখানে পরীক্ষা না পেছানোর দাবিতে বক্তব্য ও স্লোগান দেয়া হয়। পরে সকলে মিলে পরীক্ষা না পেছানোর পক্ষে আন্দোলন করে যাওয়ার শপথ গ্রহণ করে মিছিল সহকারে ঢাকা বোর্ড অফিস অভিমুখে রওয়ানা দেই।

এখানে আমরা কয়জন বোর্ডের চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে পরীক্ষা না পেছানোর দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি পেশ করি। তিনি আমাদের দাবির পক্ষে মতামত পোষণ করেন। একই দিন কমিটির পক্ষ থেকে ঢাকার বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রেসবিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়। পরদিন ঢাকার সব দৈনিক পত্রিকাগুলোতে আমাদের আন্দোলনের খবর বিরাট আকারে প্রথম পৃষ্ঠায় ছবিসহ প্রকাশিত হয়।

এভাবে পরীক্ষা না পেছানোর আন্দোলন সারা বাংলাদেশে শক্তভাবে বিস্তার লাভ করে। অন্যদিকে পরীক্ষা পেছানোর দাবি ধীরে ধীরে ম্লান হতে থাকে। ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষাকে নিয়ে জাসদ ছাত্রলীগ যে আন্দোলন করার চেষ্টা করেছিল তা আর সফল হয়নি। কারণ, পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা না পেছানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়। বিরোধী দলের সংগ্রামের স্বপ্ন এখানেই পরিসমাপ্তি ঘটে।

এদিকে আমরা ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হই। আমাদের এই আন্দোলনের সফলতায় কামাল ভাই সেদিন অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিলেন এবং আমাদের এই সাংগঠনিক সফলতার কথা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতাসহ বঙ্গবন্ধুকে পর্যন্ত অবহিত করা হয়েছিল। এভাবেই আমাদের নেতা কামাল ভাই আমাদের বিভিন্ন কাজে কর্মে উপদেশ দিতেন এবং উৎসাহিত করতেন। তার এক বিরাট বিশ্বাস ও আস্থা ছিল নুরু ভাইসহ আমাদের কয়েকজনের উপর।

অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের বেতন মওকুফের দাবি

ঢাকা শহরের সকল গার্লস হাই স্কুলে ছাত্রলীগের শাখা খোলার জন্য কামাল ভাই ও নুরু ভাই একদিন আমাকে দায়িত্ব দিলেন। কিন্তু আমি তো ছেলে মানুষ। আমার পক্ষে গার্লস স্কুলগুলোতে প্রবেশ করা এতো সহজ নয়। এই সময় আমাকে সাহায্যে এগিয়ে আসে লালমাটিয়া কলেজের পারভীন ও নাজমা। এই দুইজনই এখন প্রবাসী। একজন লন্ডন, আরেকজন কানাডায়। একটি বেবিটেক্সি ভাড়া করে পারভীন ও নাজমাকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে আমরা ছাত্রলীগের শাখা গঠন করেছিলা। শেষ পর্যন্ত সমস্যায় পড়লাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি গার্লস হাইস্কুলে। পারভীন ও নাজমা স্কুল থেকে বের হয়ে আমাকে বলল, হেডমিস্ট্রেস আপা নাকি এই স্কুলে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের শাখা খুলতে দেবেন না।

এই হেডমিস্ট্রেস আপা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সময়ের উপাচার্যি আব্দুল মতিন চৌধুরীর স্ত্রী। কী করব, কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। শেষে পারভীন ও নাজমাকে বললাম, আবার ভেতরে গিয়ে আপোকে বোঝানো যে আমরা কেন ছাত্রলীগের শাখা এখানে খুলতে চাই। ছাত্রীদের বেতন মওকুফের কথা শুনে আপা উৎসাহিত হয়ে কয়েকজনের নাম দিলেন। তাদেরকে স্কুল গেটের বাইরে এনে নাজমা ও পারভীন আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। একমাত্র পারভীন ও নাজমার জন্য কামাল ভাই ও নুরু ভাইয়ের নির্দেশ আমি সেদিন সফল করতে পেরেছিলাম।

পরে একটি নির্দিষ্ট দিন ধার্য করে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে থেকে নাজমা ও পারভীনের নেতৃত্বে মিছিল করে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের বেতন মওকুফ করার দাবি নিয়ে গণভবনে বঙ্গবন্ধুর কাছে গিয়েছিলাম। আমি ও পিন্টু (বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের মহাসচিব) সামনে না গিয়ে গণভবনের দেওয়াল ঘেঁষে গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু সেদিন ছাত্রীদের দাবি মেনে নিয়েছিলেন। আদর করে ছাত্রীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে দেখে তার রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদকে সকল ছাত্রীদের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিলেন।

এখানে নাজমার কথা না বললেই নয়। কানাডাপ্রবাসী হলেও বেশিরভাগ সময় ও ঢাকাতেই অবস্থান করে। এক সময় ঢাকার লালমাটিয়া এলাকার কমিশনার ছিল সে। ১৯৯৬ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে আমেরিকা সফর করেছিল। ছাত্রলীগের দু: সময়ের একজন সক্রিয় নেত্রী ছিল নাজমা।

চলবে...

লেখক: কাউন্টি কাউন্সিলার স্টকহোম কাউন্টি কাউন্সিল, সুইডিশ লেফট পার্টি

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :