বনানী ধর্ষণ মামলায় ফের সাক্ষ্য গ্রহণ পেছাল

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৬ আগস্ট ২০১৭, ১৫:৩৭

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় ফের সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছে আদালত।

রবিবার ঢাকার ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সফিউল আজম আসামি পক্ষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এই তারিখ ধার্য করেন।

সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য এদিন ভিকটিম বাদিনী আদালতে হাজির ছিলেন। আসামিপক্ষ অভিযোগগঠনের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন মর্মে এদিন সময় প্রার্থনা করেন।

ফলে ভিকটিম বাদিনী সাক্ষ্য না দিয়েই দ্বিতীয়দফা ফিরে যান। এর আগেও গত ২৪ জুলাই প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের ধার্য দিনে একই কারণে সাক্ষ্য গ্রহণের তারি পিছিয়ে ৬ আগস্ট ধার্য করেছিল ট্রাইব্যুনাল।

আসামিপক্ষে কাজী নজিব উল্ল্যাহ হিরু, মোশাররফ হোসেন কাজল, আব্দুর রহমান হাওলাদার, মাহবুবুর রহমান, এবিএম খায়রুল আলম লিটন ও হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা সময় আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।

এ সম্পর্কে ভিকটিম বাদী পক্ষে আইন সহায়তা দেওয়া মহিলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবী ফাহমিদা আক্তার রিংকি জানান, আমরা ভিকটিম বাদিনীকে দিয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তার হাজিরাও দিয়েছিলাম। কিন্তু আসামি পক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে আদালত এদিন সাক্ষ্য গ্রহণ করেনি।

শুনানিকালে আপন জুয়েলার্সের কর্নধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে গত ২৩ জুলাই একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২৪ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করে।

গত ৭ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। অপর আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিব, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

মামলায় বলা হয়, আসামিদের মধ্যে সাফাত ও নাঈম দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তারা ওই দুই ধর্ষিতা ছাত্রীর বন্ধু। গত ২৮ মার্চ ঘটনার দিন আসামি সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের যান ওই দুই ছাত্রী। এরপর ওইদিন তাদের রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা আটকে রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যায় আসামিরা। আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ একাধিকবার তাদের ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ করার সময় আসামি সাফাত গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। পরে বাসায় দেহরক্ষী পাঠিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখান। ধর্ষিতরা ভয়ে এবং লোকলজ্জার কারণে এবং মানসিক অসুস্থতা কাটিয়ে উঠে পরে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলোচনা করে তারা মামলার সিদ্ধান্ত নেন।

(ঢাকাটাইমস/৬আগস্ট/আরজে/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :