বিচারকের বাবার ওপর হামলার মামলা তুলে নিতে হুমকি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০১৭, ২০:১১ | প্রকাশিত : ০৬ আগস্ট ২০১৭, ১৯:৫৭

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় এক বিচারকের বাবার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় করা মামলা উঠিয়ে নিতে আসামিরা হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ১ আগস্ট গলাচিপা থানায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করেন ভোলায় কর্মরত অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলমের বাবা মোসলেম শরিফ। মামলার একমাত্র আসামি আবদুল জলিল।

বাদীপক্ষের অভিযোগ, মামলা করার পর স্থানীয় প্রভাবশালী মহল মামলা তুলে নিতে মোসলেম শরিফকে চাপ দিচ্ছে। তা না হলে ভবিষ্যতে আরও খারাপ পরিণতি হবে বলে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

মোসলেম শরিফের ছেলে ভোলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘হামলাকারী আবদুল জলিলের বিরুদ্ধে বাবা স্থানীয় থানায় মামলা করেছেন। আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি। কিন্তু স্থানীয় বাউরিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোকসেদ মেম্বরসহ কয়েকজন বাবাকে মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। তারা ভয় দেখাচ্ছে- মামলা উঠিয়ে না নিলে আমার ও বাবার নামে মিথ্যা মামরা করা হবে। মিথ্যা প্রচারণা করা হবে।’ এসব হুমকির কথা স্থানীয় পুলিশকে জানানো হয়েছে বলে জানান মাহবুব।

হামলার ঘটনার আগের দিন ৩১ জুলাই আবদুল জলিলের বাবা রাজা মিয়ার নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন বিচারক মাহবুবের বাবা মোসলেম শরিফ। গত দিন পনেরো আগে মোসলেম শরীফকে মারার হুমকি দিলে তিনি ওই জিডি করেন। তিনি বলেন, থানায় জিডি করার কারণে পরদিন তার ওপর হামলা চালায় আবদুল জলিল।

হামলার ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত ১ আগস্ট বিকালে স্থানীয় বউবাজার এলাকায় মোসলেম শরীফের ওপর হামরা চালান আবদুল জলিল। এর আগে মোসলেম শরিফকে মারার হুমকি দেন জলিলের বাবা। এতে আইনের আশ্রয় নেন তিনি।

ক্ষোভ প্রকাশ করে নাসির নামের একজন স্থানীয় অধিবাসী বলেন, ‘কেউ কি তাহলে বিচারও চাইতে পারবেন না!’

জলিল এর আগেও এ রকম কাজ করেছেন বলে জানান শহীদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, ‘তার (জলিল) বাবাও একই প্রকৃতির। এলাকায় নিরীহ মানুষ বলে পরিচিত মোসলেম শরিফ ও তার ছেলের চরিত্র হরণের চেষ্টা করছে জলিলরা।’

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জিডি ও মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আমরা সোর্স নিয়োগ করেছি। আশা করছি খুব শিগগির আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারব।’

মামলা তুলে নিতে আসামিপক্ষের হুমকির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ‍ওসি বলেন, ‘মামলা ওঠাতে যারা চাপ দেবে অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

পটুয়াখালী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে ধরার চেষ্টা চলছে।’

(ঢাকাটাইমস/৬আগস্ট/এমএম/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :