নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ করে বালু তোলার উৎসব

আজহারুল হক, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ)
 | প্রকাশিত : ০৯ আগস্ট ২০১৭, ০৮:১৪

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খিরু নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ করে বালু তোলার উৎসবে মেতে উঠেছে প্রভাবশালী অসাধু ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ রয়েছে, বালু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে অবাধে চালাচ্ছে নদী ভরাট করে বালু উত্তোলন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নদীপারের একজন বাসিন্দা বলেন, সরকার সারা দেশে নদী খননের পরিকল্পনা করছে। অথচ ভালুকায় সরকারদলীয় নেতারা নদীর একাংশে পানিপ্রবাহ বন্ধ করে বালু উত্তোলন করছে যা নদীর নব্যতাও নষ্ট করছে।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ্ আল জাকির বলেন, নদীর পাড়ে কিছু ব্যক্তিমালিকাধীন জমি রয়েছে। ফলে আমরা কিছু করতে পারি না। তবে কেউ যদি তাদের ব্যক্তিমালিকানাধীন সীমানা অতিক্রম করে সরকারি জমিতে বালু উত্তোলন করে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

বাহার ঢালী নামের এক বালু ব্যবসায়ী জমি ভাড়া নিয়ে সেখানে বালু তুলছেন দাবি করে বলেন, ‘তাতে পানিপ্রবাহ বাধা বা নদীর নব্যতা কমে গেলে আমাদের কিছু করার নেই।’

সরেজমিনে উপজেলার থানার মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় নদীর মাঝখান থেকে বালু ফেলা শুরু করছে বালু খেকোরা। নদীর দুই পাড়ে বালু ফেলায় নদী হয়ে পড়ছে একেবারে সরু। পানিপ্রবাহে বাধা পড়ছে চরমভাবে।

খিরু নদীকে উপজেলার অমূল্য সম্পদ হিসেবে আখ্যায়িত করে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ আর এম শামছুর রহমান আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এভাবে বালু তুললে শিগগিরই নাব্যতা হারাবে নদী। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

ভালুকা পৌর মেয়র এ কে এম মেজবা উদ্দিন কাইয়ুম জানান, নদী ভরাট করে বালু তোলায় নিষেধ করলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তা উপেক্ষা করে বালু উত্তোলন করছে। বালু তোলায় নিরুৎসাহিত করতে ট্রলারপ্রতি ৩০০ টাকা কর নির্ধারণ করা হয় বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/৯আগস্ট/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :