শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ আগস্ট ২০১৭, ১৪:১৬

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার দক্ষিণ চরমর্টিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা প্রধান শিক্ষককে মৌখিকভাবে অভিযোগ করলে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম ওই স্কুল পরিদর্শন করেন।

জানা যায়, দক্ষিণ চরমার্টিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জয়নাল আবেদিন গত এক মাস যাবত বিভিন্ন অজুহাতে দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করতেন। এ ঘটনা স্কুলছাত্রী একই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা নাজমা বেগকে জানান। এরপরও কোনো সমাধান না হওয়ায় ওই ছাত্রী স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। মেয়ে কেন স্কুলে যেতে চাচ্ছে না জানতে চাইলে শিক্ষকের এসব অভিযোগ তার মাকে সে খুলে বলে। ঘটনাটি শুনে মা স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকসহ সবাইকে জানান। পরে ওই প্রধান শিক্ষক ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির লোকজন শিক্ষককে ডেকে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি ভিকটিমের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং স্কুলে না আসার কারণে ভিকটিমকে মারধর করেছেন বলে জানান।

এ ছাড়া আরও জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রীকে প্রায় তার কাছে টানতে চাইতেন। এতে সে রাজি না হওয়ায় ক্লাসে উপস্থিত থাকলেও তাকে অনুপস্থিত দেখাতেন শিক্ষক জয়নাল আবেদিন।

ভিকটিমের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, অভাবের সংসারের কারণে তার সাত সন্তানকে তিনি লেখাপড়া করাতে পারেননি। কিন্তু তার দিনমজুর স্বামী সবার ছোট এ মেয়েকে লেখাপড়া করানোর জন্য অনেক চেষ্টা করছেন। কিন্তু এ অবস্থায় তিনি মেয়ের লেখাপড়াতো দূরের কথা এখন সমাজে মুখ দেখাতে পারছেন না। তিনি এই শিক্ষকের বিচার দাবি করছেন।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটিরি সভাপতি শাহ আলম কিরণ জানান, আসলে ঘটনাটি তারা শুনে খুব মর্মাহত হয়েছেন এবং তিনি ওই শিক্ষককে এ স্কুল থেকে বদলি করার জন্য শিক্ষা অফিসারকে বলেছেন।

দক্ষিণ চরমর্টিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিক উল্যাহ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ছাত্রীর অভিযোগের বিষয়ে আমরা শিক্ষক জয়নাল আবেদিনকে আপাতত ছুটিতে পাঠিয়েছি এবং এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক জয়নাল আবেদিন অভিযোগ অস্বীকার করে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ওই ছাত্রী ঠিকমত স্কুলে আসতো না। যার কারণে তাকে শাসন করেন। এতে তার বিরুদ্ধে ওই ছাত্রী এই অভিযোগ আনে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. এটিএম এসানুল হক ঢাকাটাইমসকে জানান, এ বিষয়ে আমাদের কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/০৯আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :