বঙ্গমাতা চক্ষু হাসপাতালকে কারিগরি সহায়তা দেবে অরবিস

সাজ্জাদ বাবু, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ আগস্ট ২০১৭, ১৪:৩৯

গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষের জন্য উন্নত চক্ষু চিকিৎসাসেবা দিতে গোপালগঞ্জের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা অরবিস ইন্টারন্যাশনালের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খুলনার সিটিইনে এক অনুষ্ঠানে এ সমঝেতা স্মারকে স্বাক্ষর হয়।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষুহাসপাতালে চক্ষু চিকিৎসকের দক্ষতা উন্নয়ন ও শিশুরচক্ষু স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে কারিগরি সহায়তা দেবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, এই সমঝোতা স্মারক চক্ষু স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে অরবিসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. সাইফুদ্দিন আহমেদ পিন্টু বলেন, আমাদের দেশে অনেকেই চোখের সমস্যায় ভুগছেন। আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সম্মিলিতভাবে দেশের অন্ধত্ব নিবারণে একসাথে কাজ করবো এবং অন্ধত্বমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং ন্যাশনাল আই কেয়ারের পরিচালক অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রযাত্রায় এই সমঝোতা স্মারক মাইলফলক হয়ে থাকবে।

অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মুনীর আহমেদ বলেন, অরবিস বাংলাদেশে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছে। এর মধ্যে দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চক্ষুচিকিৎসকের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে মানসম্পন্ন চক্ষু স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা অন্যতম। আমরা একসাথে কাজ করে গেলে বাংলাদেশে ভিশন ২০২০ এর লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে।

অনুষ্ঠানে ভারতের লায়ন্স অরবিন্দ ইস্টিটিউট অব কমিউনিটি অপথালমোলজিস্টের নির্বাহী পরিচালক তুলসী রাজ উপস্থিত থেকে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের শিশু চক্ষু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হোসেন এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ডিরেক্টও প্রোগ্রামস্ মো. আলাউদ্দিনসহ অরবিস ইন্টারন্যাশনালের ভলান্টিয়ার ফ্যাকাল্টি ডা. মিলিন্দ অরবিন্দ কিল্লেদার ও ডা. এন্ড্রুচয়েস প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব।

প্রসঙ্গত, অরবিস ১৯৮৫ সালে প্রথম বাংলাদেশে উড়ন্ত চক্ষুহাসপাতালের মাধ্যমে স্থানীয় চক্ষুচিকিৎসকদেও মাইক্রোসার্জারি ও উন্নতমানের কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এরপর ১৯৯৯ সালে অরবিসের বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচির সূচনা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশের চক্ষুসেবা অবকাঠামো শক্তিশালী করা এবং মানসম্পন্ন চক্ষু সেবাপ্রদানে বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতাল/প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। অরবিস চক্ষু স্বাস্থ্য সেবায় শিশুচক্ষু স্বাস্থ্য, ছানি, প্রতিসরণজনিত ত্রুটি, কর্নিয়া সংক্রান্ত অন্ধত্ব, চক্ষুব্যাংক, রেটিনোপ্যাথি অফ প্রিম্যাচুরিটি (আরওপি)এবং ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি ইত্যাদির ওপরে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। পাশাপাশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতিতে প্রাথমিক চক্ষুসেবা অন্তর্ভুক্তকরণ এবং জাতীয় অন্ধত্ব প্রতিরোধে কৌশলপত্র তৈরি ও অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম অরবিসের কার্যক্রমগুলোর অন্যতম।

(ঢাকাটাইমস/০৯আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :