শুল্ক ফাঁকি, বেনাপোলে দুই কোটি টাকার মেশিনারিজ আটক

বেনাপোল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ আগস্ট ২০১৭, ১৪:৫১

যশোরের বেনাপোল বন্দরে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা দুই কোটি টাকা মূল্যের ক্যাপিটাল মেশিনারিজের একটি চালান আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বন্দরের ওপেন ইয়ার্ড থেকে খালাশের সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পণ্য চালানটি আটক করা হয়।

বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের পরিচালক (ডিসি) সাদেক হোসেন জানান, মিথ্যা ঘোষণায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি করা ক্যাপিটাল মেশিনারিজের একটি চালান খালাস নেয়া হবে। চালানটির পণ্য মিথ্যা ঘোষণায ওজন ও এইচ এস কোডের ব্যাপক গড়মিল রয়েছে। সে অনুযাযী, শুল্ক গোয়েন্দা বন্দরে নজরদারি বাড়ায়। এক পর্যাযে, বন্দরের ওপেন ইয়ার্ডে থাকা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইলেকট্রিক ফার্নেস ঘোষণায় আনা ক্যাপিটাল মেশিনারিজের পণ্য চালানটি খালাস পর্যায়ে আটক করে পুনরায় পরীক্ষা করে ব্যাপক গড়মিল পাওয়া যায়। পণ্যচালানটির মেনিফেস্ট নং- ৩৩৬৭৭/১১, তারিখ ১৩-০৭-২০১৭, বিল অব এন্ট্রি নং ৪১১৭৬, তারিখ ১৭-০৭-২০১৭। পণ্য চালানটির ঢাকার আমদানিকারক মোহাম্মদী স্টিল ওযার্কস, নারায়ণগঞ্জ এবং এর সিএন্ডএফ এজেন্ট গণি অ্যান্ড সন্স, বেনাপোল।



কাস্টম হাউস বেনাপোল কর্তৃক আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযায়ী পরীক্ষণ ও শুল্কাযন কার্যক্রম সম্পন্ন করে খালাসের আদেশ দেয়া হয় কিন্তু শুল্ক গোয়েন্দার হস্তক্ষেপে চালানটির খালাস কার্যক্রম স্থগিত করা হয। পরে শুল্ক গোয়েন্দা ও কাস্টম হাউসের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে পুনরায় চালানটির কাগজ পরীক্ষা করে আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযাযী ২০০ কেজি ট্রান্সফরমার অয়েল এর স্থলে ৮৩৬ কেজি (৬৩৬ কেজি বেশি) এবং ৫০ কেজি লুব্রিকেন্ট এর স্থলে ২৫ হাজার ২০ কেজি গ্রিজ পাওয়া যায়। আটককৃত পণ্যের মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা এবং শুল্ক ফাঁকির পরিমাণ ৭০ লাখ টাকা। পণ্য চালানটি মাত্র ১২ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ করে বন্দর থেকে গোপনে খালাস করে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু শুল্ক গোয়েন্দার হস্তক্ষেপের কারণে বড় ধরনের রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা ধরা পড়েছে। কীভাবে বন্দর থেকে খালাস নেয়া হচ্ছিল ও কোন কোন কাস্টমসের আরও এবং এআরও পরীক্ষণ কর্মকর্তারা পণ্য চালনাটি পরীক্ষা করে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে শুল্ক ফাঁকিতে সহায়তা প্রদান করেছিল তা তদন্ত করতে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তদন্ত শুরু করেছেন।

বেনাপোল কাস্টমস এর কমিশনার শওকাত হোসেন জানান, পণ্যচালানটি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে খালাসকাজে যে সব শুল্ক কর্মকর্তারা সহায়তা করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্ট গনি অ্যান্ড সন্স এর লাইসেন্স বাতিল করার নির্দেশনা দেয়া হযেছে। সিএন্ডএফ এজন্ট’ গনি অ্যান্ড সন্স এর বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে একাধিকবার লাইসেন্স সমায়িক বাতিল করা হয়েছিল, এই বার যে গুরুতর অপরাধ করেছে তা স্থায়ীভাবে লাইসেন্স বাতিল করার জন্য বলা হযেছে বলে কমিশনার জানান।

শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর দি কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ অনুযাযী একটি মামলা দাযের করেছে।

(ঢাকাটাইমস/০৯আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :