‘রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়’
রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া দেশ থেকে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আইনের চোখে সকলেই সমান এই বিবেচনার পাশাপাশি রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। কেননা রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।’
বুধবার সকালে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
মানববন্ধনে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন, সুশাসন কার্যক্রম পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিতের আহ্বান জানান তিনি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘নির্বাচনী অঙ্গীকার, জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী সনদে অনুস্বাক্ষর, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ইত্যাদিতে সরকার ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিগণ দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় যেসব অঙ্গীকার করেছেন, তা শুধু কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ না রেখে সেগুলোর বাস্তবায়ন করতে হবে।’
টিআইবি কর্মী, সদস্য ও টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত ইয়েস গ্রুপের সদস্যরা মানববন্ধনে অংশ নেয়।
১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে এবার টিআইবি’র উদ্যোগে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ, সুশাসন ও টেকসই উন্নয়নে তারুণ্য’ প্রতিপাদ্য জাতীয় পর্যায়সহ দেশের ৪৫টি সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) অঞ্চলে তরুণদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন, র্যালি, সেমিনার, দুর্নীতিবিরোধী কার্টুন প্রদর্শনী ও পথনাটকসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের দাবিতে টিআইবি ও টিআইবি’র তরুণ অংশীজনদের পক্ষ থেকে কিছু সুপারিশও উত্থাপন করা হয়।
সুপারিশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- জাতীয় যুবনীতি ২০১৭ এর দ্রুত বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ ও সংশ্লিষ্ট তরুণ অংশীজনের অংশগ্রহণে তার পরিবীক্ষণ নিশ্চিত করা, যুবদের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধের চাহিদা তৈরির পাশাপাশি নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা, সরকারি-বেসরকারি সকল ক্ষেত্রে চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত করে প্রকৃত মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নিশ্চিত করা, এবং মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ও চর্চার সম্প্রসারণ করে অশিক্ষা, অপশিক্ষা, কুসংস্কার ও ধর্মীয় ভ্রান্ত-ধারণায় বিপথগামী হওয়া থেকে যুব সমাজকে রক্ষায় সচেতনতামূলক প্রচারণা কার্যক্রম গ্রহণ করা।
ঢাকাটাইমস/৯আগস্ট/এমআর