নরসিংদীতে চলছে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করণ

লুৎফর রহমান, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ আগস্ট ২০১৭, ১৭:১৬

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নরসিংদীর খামারি ও কৃষকেরা। দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করণ করায় এই অঞ্চলের গরুর চাহিদাও অনেক বেশি। এবার বাজারে দেশীয় গরুর ব্যাপক চাহিদা তৈরি হবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর ওপর যদি ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ থাকে তাহলে দেশীয় খামারিরা লাভবান হবেন বলে আশায় বুক বেঁধে আছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, পরম যতেœ গরুগুলোর প্রতিনিয়ত দেখভাল করছেন খামারিরা। কারণ কোরবানির হাটে যে গরু দেখতে যতো আকর্ষণীয় হবে, তার দামও হবে ততো বেশি। তাই গরুর খাদ্য তালিকাটাও বেশ সমৃদ্ধ দেখা গেছে।

অন্য অসাধু গরু ব্যবসায়ীদের মতো কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ করছেন না এখানকার খামারি ও কৃষকরা।

তারা মানুষকে দেশি গরুর স্বাদ দিতে চান। এ জন্য দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করছেন। ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করে ঘাস-খড়ের পাশাপাশি খৈল, ছোলা ও ভূষি খাওয়াচ্ছেন গরুকে।

খামারিরা জানান, বাজারে দেশীয় গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় বেশীর ভাগ খামারে দেখা গেছে দেশীয় গরুই বেশি। বিগত বছর লাভের আশায় গরু পালন করলেও, বাজারে ভারতীয় গরু থাকায়, লোকসানের মুখে পড়েন বলে অভিযোগ খামারিদের।

তবে, এ বছর কোরবানি ঈদে ভারত থেকে অবৈধ পথে গরু আসা বন্ধ থাকলে লাভবান হবেন বলে জানান তারা।

নরসিংদী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আ. ছামাদ মিয়া ঢাকাটাইমসকে জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নরসিংদী জেলায় ছোট বড় ১৫ হাজার ৫৭৫ জন খামারি দেশীয় পদ্ধতিতে ৪৬ হাজার ৮৬০টি পশু মোটাতাজা করছেন। খামারি ও কৃষকরা যাতে বিষাক্ত কোনো রাসায়নিক ব্যবহার না করে সে জন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানান এ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/০৯আগস্ট/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :