চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে বৃহৎ প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০১৭, ১৯:৫৫ | প্রকাশিত : ০৯ আগস্ট ২০১৭, ১৯:২২

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি বড় প্রকল্পসহ ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ।

মুস্তফা কামাল বলেন, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার একটি বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় খাল খনন ও সম্প্রসারণ এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করা হবে। এতে বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন হবে। এ প্রকল্পসহ মোট ১১ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেযা হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে নয় হাজার ৭৬১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে আট হাজার ২৬৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৭০৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে পাওয়া যাবে ৭৯০ কোটি টাকা।

‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের পটভূমিতে বলা হয়েছে, ৮০ লাখ মানুষের চট্টগ্রাম শহরে পানি ও বর্জ্য নিষ্কাশন হয় ৫৭টি খাল দিয়ে। কিন্তু অবৈধ দখল, ভরাট আর বর্জ্যে বোঝাই এসব খাল বৃষ্টি হলেই আর পানি সরাতে পারে না। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীর এই জলাবদ্ধতা এবং নগরবাসীর ভোগান্তি কমাতে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় শহরে ভেতর ও বাইরের ৩৬টি খাল খনন করা হবে। একইসঙ্গে এসব খালের চার লাখ ২০ হাজার ঘন মিটার কাদা অপসারণ করা হবে। ১০ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার সাইড ড্রেন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এক লাখ ৭৬ হাজার মিটার রেটেইনিং ওয়াল করা হবে। ৮৬ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। ৪৮টি পিসি ব্রিজ ও ছয়টি কালভার্ট তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে প্রকল্পে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জুলাই, ২০১৭ থেকে জুন, ২০২০ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হচ্ছে-ফেরি ও পল্টুন নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। রাজাপুর-কাঁঠলিয়া-আমুয়া-বামনা-পাথঘাটা মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। কেরানীহাট-সাতকানিয়া-গুনাগরী জেলা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আগারগাঁওস্থ শেরেবাংলানগরে পর্যটন ভবন নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

এছাড়া পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প-২য় পর্যায়, এতে ব্যয় ৫৬৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলাধীন বেলগাছা ইউনিয়নের কুলকান্দি ও গুঠাইল হার্ড পয়েন্টের মধ্যবর্তী যমুনা নদীর বাম তীররক্ষা প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮৪ কোটি চার লাখ টাকা। জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলাধীন যমুনা নদীর বামতীর সংরক্ষণের মাধ্যমে ভুয়াপুর-তারকান্দি সড়ক রক্ষা প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সৌর শক্তি ও পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। মহেশখালী পাওয়ার হাব এর ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৩২৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৪১ কোটি টাকা।

(ঢাকাটাইমস/০৯আগস্ট/জেআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :