বারোমাসি তরমুজে ভাগ্য খুলেছে পাবনার আনিসুরের

খাইরুল ইসলাম বাসিদ, পাবনা
 | প্রকাশিত : ১০ আগস্ট ২০১৭, ০৮:১৫

পাবনায় বারো মাসে তরমুজ চাষ করে ভাগ্য খুলেছে কৃষক আনিসুর রহমানের। দেখতে আকর্ষণীয় আর খেতে সুস্বাদু এসব তরমুজের বাজারে ব্যাপক চাহিদা। ফলে চলতি মৌসুমে তার লাভ ছাড়িয়েছে লক্ষাধিক টাকা। আনিসুলের সাফল্য সাড়া ফেলেছে এলাকার অন্যান্য কৃষকের মাঝেও।

পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া গ্রামের কৃষক আনিসুর রহমান। প্রচলিত জাতের সবজি ও ফলের পাশাপাশি শখ ও কৌতূহলের বশে গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করেন থাই জাতের তরমুজ চাষ। সফলতা পাওয়ায় এ বছর দেড় বিঘা জমিতে চাষ করেন কানিয়া, মুনিয়া ও সুইটব্লাক নামের তিন প্রজাতির থাই তরমুজ। ফলন ভালো ও বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় লাভের মুখ দেখেছেন তিনি।

তরমুজ চাষি আনিসুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, গত বছর আধা বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে ব্যাপক লাভবান হওয়ায় তিনি এবার দেড় বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। তিনি বলেন, তার দেখাদেখি অনেকেই তরমুজ চাষ শুরু করেছেন। আগামীতে পাঁচ বিঘা জমিতে তরমুজ আবাদ করবেন বলে জানালেন এই চাষি।

জমিতে তরমুজের জন্য তৈরি করা হয় মাচা। পরে সে মাচাতেই শসা, করল্লা, শিমসহ বিভিন্ন সবজি আবাদে সাশ্রয় হয় কৃষকের। স্বল্প সময়ে ভালো লাভ হওয়ায় আনিসুরের দেখাদেখি বারোমাসি তরমুজ আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এলাকার অন্যান্য কৃষকেরাও।

চাষি আকবর আলী বলেন, আনিসুরের তরমুজ চাষ দেখে তিনিও চাষ করতে আগ্রহী। একই জমিতে অন্যান্য সবজি চাষ করার ফলে কৃষকরা বেশি লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।

অন্যান্য ফসলের চাইতে ফলন ভালো এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় চাষিরা ঝুঁকছে এই তরমুজ চাষে।

তরমুজ চাষি আনিসুর রহমান বলেন, বর্তমানে বাজারে এককেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। দেখতে সুন্দর হওয়ায় এর চাহিদাও বেশি।

পাবনা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বিভূতিভূষণ সরকার ঢাকাটাইমসকে বলেন, আনিসুরের সাফল্যে খুশি জেলার কৃষি বিভাগ। নতুন ফসল উৎপাদনে উদ্যমী চাষিদের সহযোগিতার আশ্বাসও দিলেন তিনি। তিনি বলেন, চাষিরা এই বারোমাসি তরমুজ চাষ করলে বেশি লাভবান হবেন। চলতি বছর জেলায় ১৬৫ হেক্টর জমিতে বারোমাসি তরমুজের আবাদ হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/কেবি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :