মদিনায় দুর্ভোগে চট্টগ্রামের ২৩৩ হাজি

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ আগস্ট ২০১৭, ১৪:৫৮

সৌদি আরবের পবিত্র মদিনায় হোটেলের ব্যবস্থা না করায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত হজ কাফেলার ২৩৩ হাজি চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ নিয়ে হজ কাফেলার বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ ও প্রতারণার অভিযোগে উকিল নোটিশ দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় এস আলম শিল্প গ্রুপ।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকালে এস আলম গ্রুপের পক্ষে মানবাধিকার আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসান এ নোটিশ দেন। এতে সমস্যাটি সমাধানে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয়া হয়।

জিয়া হাবীব আহসান জানান, এস আলম শিল্প গ্রুপ প্রতি বছরের মতো এবারো ২৩৩ জন হাজিকে হজে পাঠান। যাদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন শাহ আমানত হজ কাফেলা। কিন্তু হজ কাফেলাটি হাজিদের মদিনায় নিয়ে যাওয়ার পর হোটেলের ব্যবস্থা করে দেননি। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজিরা। যার কারণে কাফেলাটির বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার সুনাম ক্ষুণ্ন, ক্ষতিপূরণ, প্রতারণার অভিযোগে ফৌজদারি ও দেওয়ানি আদালতে যুগপৎ মামলা দায়েরের ব্যাপারে সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে।

যাদের প্রতি আইন নোটিশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন শাহ আমানত হজ কাফেলার এম. ডি মোহাম্মদ ইয়াছিন, পরিচালক যথাক্রমে মো. মহিউদ্দিন, মো. সাইফুদ্দিন জহুর, এ.টি.এম শাহজালাল, মো. নাঈম উদ্দিন জহুর প্রমুখ।

নোটিশে বলা হয়, ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে প্রতিবছর আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের একটি দল হজে পাঠায় এস আলম গ্রুপ। এবারও ২৩৩ জনকে সৌদি আরবে পাঠানো হয় মেসার্স শাহ আমানত হজ কাফেলা ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস এর মাধ্যমে। এই কাফেলার মাধ্যমে ২৩৩ জন হাজির মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির তিন লাখ ৬০ হাজার জনপ্রতি হিসেবে যাবতীয় ব্যয় বাবদ গত ২২/১১/১৬ তারিখের চুক্তি মোতাবেক আট কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেয়া হয়।

গত সোমবার (০৭ আগস্ট) এস আলম গ্রুপের তালিকাভুক্ত হাজিদের পবিত্র মদিনা মনোয়ারায় পৌঁছানো হয়। কিন্তু তাদের নির্ধারিত হোটেলে না রেখে বিভিন্ন নন এসি প্রতিটি কক্ষে ৮/১০ জন হাজিকে ঠাসাঠাসি করে রাখা হয়। যেখানে অ্যাটাচ বাথরুমও নেই। এতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদেরকে বারবার হোটেল পরিবর্তনসহ ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় ব্যাগেজ নিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। যা চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণার শামিল।

নোটিশে আরও বলা হয়, হজ এজেন্সির একটি লাইসেন্সে ৩০০ হাজী নেয়া যায় কিন্তু শাহ আমানত হজ কাফেলা বিভিন্ন লাইসেন্স ব্যবহার করে প্রায় ১৬০০ জন হাজী মদিনায় মনোয়ারায় নিয়ে যায়। ফলে হাজিরা দুর্ভোগের শিকার হন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহ আমানত হজ কাফেলার এম. ডি মোহাম্মদ ইয়াছিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, মক্কায় আমরা হাজিদের জন্য যে বাড়ি ভাড়া করেছি সে বাড়ির মালিকানা নিয়ে সে দেশের দুই ভাইযের বিরোধের কারণে বাড়িটি সিলগালা করে দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এ কারণে হঠাৎ এ সমস্যার কারণে আমাদের হাজিরা একটু দুর্ভোগে পড়েছেন। আমরা আবার একটি নতুন বাড়ি ভাড়া করে হাজিদের থাকার ব্যবস্থা করছি। হাজিদের এ দুর্ভোগের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/আইকে/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :