সুনামগঞ্জে বন্যার অবনতি, ভোগান্তিতে লাখো মানুষ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ আগস্ট ২০১৭, ১৬:০৯ | প্রকাশিত : ১১ আগস্ট ২০১৭, ১৫:১০

সুনামগঞ্জে গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ। ফলে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।

জানা যায়, জেলার পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগড়, দোয়ারা, ছাতক, দিরাই-শাল্লা উপজেলায় ১০ হাজার হেক্টরের অধিক রোপা আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ম্ন অঞ্চলের স্কুল, হাট-বাজার, বসত-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট ও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। জেলার সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসাপাতাল, বিভিন্ন হাট-বাজার ও নিম্ন অঞ্চলগুলোর বসতবাড়ি পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ডুবে যাওয়া হাট-বাজারের দোকানের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে ও স্কুলগুলোতে ছাত্ররা আসতে না পারায় ক্লাস বন্ধ।

আরও জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলার ২৩টি হাওর ও নদ-নদীগুলোতে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সপ্তাহখানেকের ভারী বর্ষণে সীমান্তের ছোট-বড় ২০ ছড়া দিয়ে প্রবল বেগে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে পাহাড় ধসের আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে চারাগাঁও, চানঁপুর, রজনী লাইন, বড়ছড়া, বাগলী সীমান্তে বসবাসকারী মানুষ।

এদিকে যাদুকাটা নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ায় নদী তীরবর্তী বিন্নাকুলি, আনোয়ারপুর বাজার ভেঙে যাচ্ছে। এছাড়াও বসতবাড়িগুলো রক্ষা করার জন্য ওই এলাকার লোকজন করছে পানির সাথে যুদ্ধ। অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে তাহিরপুর উপজেলার-পাতারগাঁও, ইছুবপুর, টেন্ডারপাড়া, সোহালা, সত্রিশ, ইসলামপুর, লামাগাঁও, লামাগাঁওসহ ৪০ গ্রামের মানুষের বসতবাড়ির চারপাশে পানিবন্দী হয়ে আছে ও রাস্তাঘাট ডুবে গেছে।

উপজেলার বাদাঘাট বাজার ঔষধ কোম্পানির ফারিয়ার সভাপতি সুহেল আহমদ সাজু জানান, জেলা শহরসহ আশেপাশের উপজেলাগুলোর সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। যেভাবে বাড়ছে বৃষ্টি, সেই সাথে বাড়ছে পানি। তাতে করে সীমাহীন ভোগান্তির শেষ থাকবে না অসহায় এ উপজেলাবাসীর।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম আখঞ্জি ঢাকাটাইমসকে বলেন, বন্যার কারণে তাহিরপুর উপজেলার হাওর এলাকার দ্বীপ সাদৃশ্য গ্রাগুলোতে বসবাসকারী মানুষ রয়েছেন উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায়। একশ দিনের কর্মসূচি শেষ অসহায় এই হাওরবাসীর দুর্ভোগের পাশে এখন সরকারি সহায়তার হাত বাড়ানো খুবেই প্রয়োজন। আর যে পরিস্থিতি হোক অসহায় উপজেলাবাসীর পাশে থেকে দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :