শাহজালালের আগুন নিয়ন্ত্রণে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ আগস্ট ২০১৭, ১৭:১৯ | প্রকাশিত : ১১ আগস্ট ২০১৭, ১৫:৪১

দেশের প্রধান বিমানবন্দরে লাগা আগুন দুই ঘণ্টার আগেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে ফায়ার সার্ভিস। এই দুর্ঘটনায় উদ্বেগ ছড়ালেও খুব একটা কোনে ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের কর্মীরা।

এই ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) শাকিল নেওয়াজ।

শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মূল ভবনের তৃতীয় তলায় একটি বিদেশি এয়ারলাইনের কার্যালয়ে এই আগুন লাগে বলে ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার পলাশ চন্দ্র মদক। খবর পেয়ে বাহিনীটির ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। সম্মিলিত চেষ্টায় বেলা তিনটা পাঁচ-এর দিকে আগুন নিভিয়ে ফেলেন দমকল কর্মীরা।

এই ঘটনায় বিমানবন্দরে উপস্থিত যাত্রী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। আর কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ ও বহির্গমন বন্ধ করে দেয়। অবতরণ করা ফ্লাইটের যাত্রীরা সবাই নিরাপদে আছে বলে শুরু থেকেই জানিয়েছেন আসছিলেন কর্মীরা।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন সহকর্মী ইফতেখার রায়হান জানান, আগুন লাগার পর পর বিমানবন্দরের সব যাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তার জন্য বের করে দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অক্সিজেন নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার দিয়ে বিমানবন্দর এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

শুরুতে কেউ কেউ বলছেন দ্বিতীয় তলা থেকে আগুনের সুত্রপাত, আবার কেউ বলছেন তৃতীয় তলা থেকে আগুন লাগে। তবে বিমানের এক কর্মকর্তা জানান, মূল ভবনের তৃতীয় তলায় বেশ কয়েকটি এয়ারওয়েজের অফিস রয়েছে। সেখান থেকেই আগুন লাগার সম্ভাবনা বেশি। তৃতীয় তলায় বাংলাদেশ বিমানের দুটি, এয়ার ইন্ডিয়ার একটি, কাতার এয়ারওয়েজের একটি, সৌদি এয়ারলাইন্সের একটিসহ আরো কয়েকটি এয়ারওয়েজের অফিস রয়েছে।

পরে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন শাকিল নেওয়াজ জানান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। তিনি বলেন, ‘আগুন লাগার সাথে ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে এবং তিনটা পাঁচ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।’

ভেতরে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল কি না- জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা তদন্তের ব্যাপার। আমরা তদন্ত করছি। পরে আপনাদেরকে জানাতে পারব।’

বিমানবন্দরের পরিচালক কাজী ইকবাল করিম বলেন, ‘এটি মনুষ্যসৃষ্ট নাকি শর্ট সার্কিট থেকে লেগেছে, সে বিষয়ে বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হবে। যদি কারও গাফিলতি পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরের মত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই ধরনের ঘটনা আমাদের জন্য অশনিসংকেত। এটা অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফায়ার সেফটির বিষয়টিও তদন্ত করা হবে। যদি কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়, অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ইকবাল করিম বলেন, ‘আগুন লাগার সময় বহির্গমন বন্ধ ছিল, কিন্তু কোনো ফ্লাইট মিস হয়নি। কিছুটা ডিলে হয়েছে। তবে অবতরণ চালু ছিল। যাত্রী যারা বাইরে থেকে এসেছে, তারা ঠিকমতই বিমানবন্দরের বাইরে গেছেন।’

(ঢাকাটাইমস/আইআর/ডব্লিউবি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :