পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর আত্মহত্যা: নেপথ্যে স্বামীর পরকীয়া

স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্ত্রী লাবনীকে প্রায়ই মারধর করতেন এসআই দেবাশীষ। এজন্য বাধ্য হয়ে লাবনী ‌আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে অভিযোগ লাবনীর স্বজনদের।

সদর থানার এসআই দেবাশীষ সাহার স্ত্রী লাবণী সাহা বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ লাইন সংলগ্ন রাধাকৃষ্ণপুর এলাকায় রেললাইনে ঢাকাগামী লালমনিরহাট এক্সপ্রেসের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন।

প্রায় ৬ মাস আগে দেবাশীষের সাথে লাবণীর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর তারা গাইবান্ধা শহরের পুরাতন হাসপাতাল লেনে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন।

দেবাশীষের সহকর্মী এসআই আব্দুর রউফ ঢাকাটাইমসকে জানান, আত্মহত্যার কারণ বোঝা যাচ্ছে না। দেবাশীষ সকালে ডিউটিতে চলে যায়। দায়িত্ব পালনকালে দেবাশীষ জানতে পারে তার স্ত্রী ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করেছেন।

সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরসেদুল হক ঢাকাটাইমসকে জানান, ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করার বিষয়টি রেল পুলিশ দেখছে। আমরা আমাদের সহকর্মীর স্ত্রী হিসেবে আত্মহত্যা সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছি।

এদিকে লাবণীর চাচা নন্দলাল সাহা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার সময় দেবাশীষের সাথে একটি মেয়ের সম্পর্ক ছিল। মেয়ে পক্ষ তা জানত না। পারিবারিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দেবাশীষের সাথে লাবণীর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যাওয়ার পরই লাবণী জানতে পারে অপর একটি মেয়ের সাথে দেবাশীষের সম্পর্ক রয়েছে। দেবাশীষ ওই মেয়েটিকে বিয়ে করবে বলে প্রায়ই লাবণীকে বলত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। মাঝে মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। এসআই দেবাশীষ কোন কোন দিন লাবণীকে মারপিট করে এক পর্যায়ে ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে দিত। সেই কারণেই লাবনী ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করে।

(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)