সাউথ আফ্রিকায় গুলিতে নিহত শরীয়তপুরের সোহেল
বাংলাদেশি এক ব্যবসায়ীকে দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বজনেরা। প্রবাসীর নাম কাজী সোহেল রানা। তার বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার গ্রামে। তিনি এক সন্তানের জনক।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাপটাউন রাইলেন শহরে বাংলাদেশি এক ব্যবসায়ী কাজী সোহেল রানা বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢোকার সময় সন্ত্রাসীরা রাস্তা থেকে তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। ওই গুলি তার মাথা ও পেটে বিদ্ধ হয়। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরে সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। বর্তমানে তার লাশ দক্ষিণ আফ্রিকার একটি হিমাগারে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে খুব শিগগির লাশ দেশে ফেরত আনা হবে বলে স্বজনেরা জানিয়েছেন।
নিহত সোহেল রানার গ্রামের বাড়ি ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার গ্রামে। তার বাবা হাফেজ আব্দুল জলির কাজী, মা ছালেহা বেগম। নিহত ব্যবসায়ী দীর্ঘ ১৫ -১৬ বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যবসা করে আসছেন। সেখানে তিনি স্ত্রী নিছা আকতার ও ছেলে তাবিজ কাজিকে সঙ্গে নিয়ে থাকতেন। বর্তমানে তার স্ত্রী-পুত্র সেখানেই আছেন।
সোহেল রানার মৃত্যুর সংবাদ দেশে পৌঁছার পর তার স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পাড়া-প্রতিবেশী শত শত লোক গ্রামের বাড়িতে খবর শোনার জন্য ভিড় জমায়। নিহতের মা ছালেহা বেগম ছেলের নিহতের সংবাদ শোনার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। একটু জ্ঞান ফিরলে শুধু বলেন, ‘আমার সোহেল কী কইয়া গেলি বাবা।’ কারো সান্ত্বনায় তার কান্না থামছে না। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।
নিহতের বাবা হাজী আব্দুল জলির কাজী ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমার ছেলে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যবসা করতো। সে প্রায় ১৫/১৬ বছর যাবত সেখানে থাকে। আমরা তার লাশ দেশে আনার চেষ্টা করছি।
ভেদরগঞ্জ থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান ঢাকাটাইমসকে বলেন, বিদেশে কেউ মারা গেছে এখনো আমার কাছে কোনো খবর আসেনি। এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)