তিন বছর ধরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, খালু আটক

লক্ষ্মীপুরে তিন বছর ধরে ভায়েরার কলেজ পড়–য়া মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে খালু জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে এলাকাবাসী।

এসময় ওই নির্যাতিত কলেজ ছাত্রীকেও উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পৌরসভার দক্ষিণ মজুপুর এলাকার একটি বাসা থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক ও কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ২০১৫ সালে জাহাঙ্গীর আলমের ঢাকার বাসায় বেড়াতে যায় তার ভায়েরার কলেজপড়ুয়া মেয়ে। এসময় তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করত খালু জাহাঙ্গীর আলম। দীর্ঘদিন ওই বাসায় কৌশলে আটকিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করতে থাকে। পরে বিয়ের করার আশ্বাস দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ মজুপুর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে আসে খালু জাহাঙ্গীর আলম। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার লোকজন তাদের দুইজনকে আটক স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রায়হানকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক ও মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নির্যাতিত ওই কলেজ ছাত্রী জানান, গত তিন বছর ধরে ঢাকার বাসায় আটকিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে আসছিল জাহাঙ্গীর আলম। পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে লক্ষ্মীপুরে তার নিকটত্মীয়ের বাসায় নিয়ে আসে সে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়েছেন ওই ছাত্রী।

তবে ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওই মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হয় জাহাঙ্গীর আলম।

এ ব্যাপারে পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রায়হান জানান, দীর্ঘ তিন বছর ধরে ওই মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করে আসছিল জাহাঙ্গীর আলম। বিষয়টি জানার পর বখাটে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার করে খালু জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)