বৃষ্টিতে ঠাকুরগাঁওয়ে জলাবদ্ধতা, পথচারীদের দুর্ভোগ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ আগস্ট ২০১৭, ২২:০৪

পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত ড্রেনগুলো কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না। তাই সামান্য বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় হাটু পরিমাণ পানি লেগে থাকায় পথচারীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

চলতি বছর সারাদেশে যখন বর্ষা তখন ঠাকুরগাঁও জেলা খরার কবলে পড়ে। শ্রাবণের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত না থাকায় কৃষি প্রধান এ জেলার চাষিদের শ্যালো মেশিন কিংবা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-২ এর আওতাধীন নলকূপগুলো থেকে সেচ দিয়ে জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করতে হয়।

দেরীতে হলেও গত ৭ আগস্ট থেকে এখানে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। কখনো মুসলধারে, আবার কখনো থেমে থেমে। বৃষ্টিপাতে জমিতে পানি জমানোর কারণে চাষিরা নতুন উদ্যমে রোপা লাগানো শুরু করে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ জমির আমনের ক্ষেতে রোপা লাগানো প্রায় শেষ হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে মুসলধারে বৃষ্টি ঝড়ছে। এতে খাল বিল ইতোমধ্যে বর্ষার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। জমিতে ম্যালো দিয়ে সেচ দিয়ে যারা আমন ধানের রোপা লাগিয়েছিলেন সেসব চাষিদের মনে স্বস্তি দেখা ফিরে এসেছে।

মুসলধারে বৃষ্টির কারণে শহরের রাস্তাঘাটেও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পৌরসভার ড্রেনগুলো দীর্ঘ দিন থেকে নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করায় থাকায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাসিত হতে না পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পৌর বাসিন্দারা।

শহরের হাজিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা হামিদুর রহমান জানান, ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মাটি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে অনেকটা।তাই গভীরতা কমে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি ঠিকমতো নিষ্কাশিত হতে পারে না।তাই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।

শুক্রবারের বৃষ্টিতে শহরের চৌরাস্তায় এবং হলপাড়ার হানিফ কাউন্টার এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ সময় পথচারীদের চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হয়।

অবশ্য পৌর কর্তৃপক্ষ এ জন্য শহরবাসীর অসচেতনতাকে দায়ী করেছেন।

পৌর সভার কর্মচারী আহসানুল হাবীব পাপ্পু জানান, ক্লিন ঠাকুরগাঁও-গ্রিন ঠাকুরগাঁওয়ের আওতায় বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট ঝুড়িতে ফেলার কথা। আর ঝুড়ির ময়লা আবর্জনা নির্ধারিত লোকজন গাড়িতে করে নিয়ে গিয়ে নির্ধারিত জায়গায় ফেলার কথা। কিন্তু পৌর বাসিন্দাদের অনেকে বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা ও পলিথিন ড্রেনে ফেলার কারণে তা দিন দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো জানান, ১০ জন মিলে ভরাট করলে একজনের পক্ষে পরিষ্কার করে রাখা অসম্ভব।

(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :