শেরপুরে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ আগস্ট ২০১৭, ১৭:৪৭

গত দুই দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ভোগাই নদীর অন্তত ১৪টি স্থানে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এছাড়াও নদীর তীর গড়িয়ে প্লাবিত হচ্ছে চেল্লাখালী নদীর পানিও। ফলে পৌরসভাসহ অর্ধশতাধিক গ্রাম আকস্মিক বন্যায় কবলিত হয়ে পড়েছে।

উপজেলার অন্তত আটটি ইউনিয়নে আকস্মিক বন্যায় হাজার হাজার একর জমির রোপা-আমনের বীজতলা ও ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। পুকুর গড়িয়ে ভেসে গেছে বিপুল পরিমাণ মাছ। পানির তোড়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে অসংখ্য কাঁচা ও পাকা রাস্তা। বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় ২০/২৫টি বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অনেক এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।

স্থানীয়রা জানায়, টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি নদী ভোগাই উপচে নয়াবিল ইউনিয়নের হাতিপাগারে একটি, রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের মন্ডলিয়াপাড়া ও ভজপাড়ায় দুটি, নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের নিচপাড়া ও খালভাঙায় তিনটি, বাঘবেড় ইউনিয়নের শিমুলতলা এলাকায় তিনটি এবং পৌরসভার নিচপাড়ায় একটি ও উত্তর গড়কান্দা এলাকার তিনটি মিলে মোট ১৪টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও ভাঙনের আশংকা রয়েছে আরও বেশকিছু এলাকা। সবমিলে ভাঙনকবলিত নদী পাড়ের এলাকা হাজার মিটার ছাড়িয়ে গেছে।

বাঘবেড় গ্রামের আবু জাফর, তৈয়ব আলী, আহসান মিয়া, আশরাফ গাজীসহ আরো অনেকেই জানান, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার অন্তত আটটি ইউনিয়ন আকস্মিক বন্যার কবলে পড়েছে। এসব এলাকার হাজার হাজার একর জমির রোপা- আমনের বীজতলা ও ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। পুকুর গড়িয়ে ভেসে গেছে কোটি কোটি টাকার মাছ। পানির তোড়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে অসংখ্য কাঁচা ও পাকা সড়ক। বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় ২০/২৫টি বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অনেক এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।

তারা আরও জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে ভোগাই নদীর বাঁধের বিভিন্ন অংশ ভেঙে আকস্মিক ঢল নামে। একই সময়ে নদীর দুকূল উপচে ঢল নামে চেল্লাখালীর আশপাশ এলাকায়ও। এসময় তারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশপাশের উঁচু এলাকায় আশ্রয় নেন।

বন্যা কবলিত এলাকা নয়াবিল গ্রামের রমজান শেখ, শফিউদ্দীন মিয়া ও মনির মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিগত কয়েক বছর যাবত ভোগাই নদীর বিভিন্ন এলাকার বাঁধ ভাঙা অবস্থায় ছিল। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরও এসব বাঁধ মেরামতে সংশ্লিষ্টরা এগিয়ে আসেনি। যে কারণে আমাদেরকে আবারো দুর্ভোগে পড়তে হলো।

শনিবার সকাল থেকেই উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বন্যা কবলিত বেশকিছু এলাকা পরিদর্শন করেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরফদার সোহেল রহমান।

(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :