মেঘনা সেতুতে দুর্ঘটনা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট

প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০১৭, ২১:০০

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে মেঘনা সেতুর উপর একটি বাস ও ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শনিবার দুপুর সাড়ে তিনটা থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে সীমিত আকারে যান চলাচল শুরু হলেও সেতুর দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হযেছে।

এতে মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। শ্রাবণের বর্ষণ তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি সেতুর উপর থেকে সরিয়ে নেয়ার পর যান চলাচল আংশিক শুরু হলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত মেঘনা সেতুর ওপর দুর্ঘটনায় পতিত লোহার  স্ক্রাপভর্তি ট্রাকটি পড়ে রয়েছে। এতে সেতুর ওয়ান ওয়ে ধীর গতিতে যানবাহন চলছে। এ সময় সেতুর উভয় পাশে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজটের।

গজারিয়া থানার ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. আবুল হাশেম মুন্সী সন্ধ্যায় ঢাকাটাইমসকে জানান, লোহার স্ক্রাপভর্তি ট্রাকটি সরিয়ে নেয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হবে। তবে কত সময়ের মধ্যে তা হবে নিশ্চিত করে বলতে পারেননি দায়িত্বরত ওই পুলিশ অফিসার।

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জানান, শনিবার গ্রামের বাড়ি গজারিয়া উপজেলায় আসতে ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় আসতে তার লাগে তিন ঘণ্টা। পরে তিনি ঢাকায় ফিরে যেতে বাধ্য হন। 

যাত্রী, চালক ও দায়িত্বরত পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহনের চালকেরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে আটকে পড়া নারী ও শিশু যাত্রীদের দুর্ভোগ সীমা অতিক্রম করেছে। 

আটকে থাকা একটি ট্রাকের চালক নূরু মিয়া জানান, গন্তব্যে পৌঁছতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় চার ঘণ্টা বেশি গেল এখনো মেঘনা সেতু পার হতে পারি নাই।

কুমিল্লা থেকে রওয়ানা দেয়া যাত্রী তৈয়ব আলী বলেন, কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে রওয়ানা দিয়ে তিন ঘণ্টায় মেঘনা সেতুর জামালদি আটকে আছে গাড়ি। কখন ঢাকা পৌঁছবো জানি না।

কুমিল্লা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসের যাত্রী আব্দুল মোমিন বিকাল সাড়ে চারটায় জানান, পথে পথে আটকে থাকায় নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও মেঘনা সেতুর পূর্ব ঢালে আটকে আছি। কখন ঢাকায় পৌঁছবো জানি না।

(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)