আমৃত্যু এলাকার সেবায় নিয়োজিত থাকতে চাই: দোলন

প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০১৭, ২২:১৫ | আপডেট: ১২ আগস্ট ২০১৭, ২৩:০৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঢাকাটাইমস ও সাপ্তাহিক এই সময়ের সম্পাদক এবং কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান দোলন বলেছেন, ‘আমি সংসদ সদস্য বা বড় কোনো পদে যাওয়ার জন্য ব্যাকুল নই। আমার পরিবারের সদস্যরা মানুষের সেবা করেছেন। আমিও সেই পরিবারের সদস্য হিসেবে মানুষের সেবায় নিযোজিত থাকতে চাই।’

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে একটি স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলফাডাঙ্গার কৃতী সন্তান ও উত্তরখান থানার প্রয়াত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সিরাজুল হকের অকাল মৃত্যুতে তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় এই স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ঢাকাস্থ আলফাডাঙ্গার যুব সমিতি তোপখানা রোডের স্বাধীনতা হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক সচিব হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম, সাবেক পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক মানিক খসরু, ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান, রমনা বিভাগের উপকমিশনার সরদার মারুফ হোসেন, রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আশরাফুল ইসলাম, লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজির, র‌্যাবের পরিচালক ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ আলফাডাঙ্গা যুব সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ জামাল হোসেন মুন্না ও সভা পরিচালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেয়াজ উদ্দিন আহমেদ।

ফরিদপুর-১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘আমাদের আলফাডাঙ্গা-বোয়ালমারী-মধুখালী পিছিয়ে ছিল, এখনো পিছিয়ে আছে। আমি সেই এলাকাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘কে সংসদ সদস্য হবেন, কে বড় নেতা হবেন সেটা আল্লাহ জানেন। আর সিদ্ধান্ত নেবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

প্রয়াত ওসির স্মৃতিচারণ করে ঢাকাটাইমস সম্পাদক বলেন, ‘ওসি সিরাজুল হকের সঙ্গে নিয়মিত টেলিফোনে যোগাযোগ হতো। সরকারি কর্মচারী হয়েও এলাকার জন্য তাঁর দারুণ টান ছিল।’

দোলন বলেন, ‘সিরাজ ভাই আলফাডাঙ্গার কামারগ্রামে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের দিন আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি মাঝে মাঝেই আমাকে ফোন করে পরামর্শ দিতেন, যা আমার ভালো লাগত।’

আরিফুর রহমান বলেন, ‘এমন একজন ভালো মানুষ হঠাৎ করে এভাবে চলে যাবে তা আমাদের কারোই কাম্য নয়। আমরা দোয়া করি আল্লাহ তাঁকে বেহেশত নসিব করুন।’

ওসি শেখ সিরাজুল হকের স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, ‘তিনি একজন ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তাঁর কাছে গেলে সাধ্যমত উপকার করতে চেষ্টা করতেন। তাঁর মতো মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে সত্যিই কম।’

এ সময় সিরাজুল হকের সহকর্মীরা জানান, তিনি নিজের দায়িত্বের প্রতি আন্তরিক ছিলেন। পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা রক্ষায় তিনি সবসময় কাজ করেছেন। 

অনুষ্ঠানে প্রয়াত ওসির মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের আত্মার মাগফেরাতও কামনা করা হয়।

প্রসঙ্গত, মরহুম শেখ সিরাজুল হক ১৯৬৫ সালের ২ জানুয়ারি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানার হেলেঞ্চা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শেখ আদম আলী। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট।

শেখ সিরাজুল হক ব্যক্তিগত জীবনে দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক ছিলেন। তার বড় ছেলে শেখ নাহিয়ান ফেরদৌস সীমান্ত বারডেম মেডিকেল কলেজে এমবিবিএসের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, ছোট ছেলে শেখ মাহিয়ান ফেরদৌস প্রান্ত ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তার বড় মেয়ে সাবরিনা আফরিন সিমি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্রী।

(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/এএ/জেবি)