দুই ছাত্রের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিল কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন

প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০১৭, ২৩:০১ | আপডেট: ১২ আগস্ট ২০১৭, ২৩:২৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

গরীব ও মেধাবী দুই ছাত্রের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিল কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান দোলন শনিবার রাজধানীতে আয়োজিত এক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে ওই দুই ছাত্রের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দেন।    

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার কৃতি সন্তান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরখান থানার প্রয়াত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সিরাজুল হকের আত্মার শান্তি কামনা কামনায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় রাজধানীর তোপখানা রোডের স্বাধীনতা হলে ঢাকাস্থ আলফাডাঙ্গা যুব সমিতি এই স্মরণসভার আয়োজন করে। সভায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শাহাদতবরণকারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ  ‍মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

স্মরণসভায় আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘আমি সংসদ সদস্য বা বড় কোনো পদে যাওয়ার জন্য ব্যাকুল নই। আমার পরিবারের সদস্যরা মানুষের সেবা করেছেন। আমিও সেই পরিবারের সদস্য হিসেবে মানুষের সেবায় নিযোজিত থাকতে চাই।’

যাদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন-ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার সূর্য সন্তান ইয়াকুব আলী ও আশিকুজ্জামান পারভেজ।

নগরকান্দা গ্রামের সন্তান ইয়াকুব আলী রাজমিস্ত্রীর কাজ করে নওয়াপাড়া হাইস্কুল থেকে ২০১৭ সালে  এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পায়। তার বাবা মোহাম্মদ খোকন মোল্লা পেশায় একজন কৃষক। চার ভাই তিন বোনের ইয়াকুব দ্বিতীয়। বড় হয়ে তার চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা।   

অন্যজন মিঠাপুর কলেজ পাড়ার আশিকুজ্জামান পারভেজ। সে আলফাডাঙ্গা আরিফুজ্জামান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে জিপিএ ফাইভ পান। তার বাবা মোহাম্মদ শাহজাহান মোল্লাও একজন কৃষক। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে পারভেজ বড়। সে বড় হয়ে প্রকৌশলী হতে চায়।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করছে। ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান দোলন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাটাইমস ও সাপ্তাহিক ‘এই সময়’ সম্পাদক।

মসজিদ-মন্দির, পাঠাগার ও এলাকার উন্নয়নে অনুদান, কলেজ শিক্ষার্থী ও বেকার যুবকদের বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন। গত বছরের নভেম্বরে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পাঁচশ জনকে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা দেয়া হয়। এরমধ্যে ২১ রোগীর বিনামূল্যে লেন্স সংযোজনসহ ছানি অপারেশন করা হয়।       

শেখ সিরাজুল হকের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে  আরও বক্তব্য রাখেন-ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক সচিব হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম, সাবেক পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক মানিক খসরু, ঢাকা মহান পুলিশের উপ কমিশনার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান, রমনা বিভাগের পুলিশের উপকমিশনার সরদার মারুফ হোসেন, রমনা বিভাগের পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার আশরাফুল ইসলাম, লালবাগ বিভাগের পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার  নাজির,  র‌্যাবের পরিচালক ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/এএ/জেডএ)