তারেক-মিশুককে হারানোর ছয় বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট ২০১৭, ০৮:১৫

খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের সাবেক প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী মিশুক মুনিরের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ রবিবার। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন শুক্রবার থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় খ্যাতিমান এই দুইজনসহ পাঁচজন প্রাণ হারান। নতুন চলচ্চিত্র ‘কাগজের ফুল’-এর শুটিংয়ের স্থান দেখতে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনির সহকর্মীদের নিয়ে মানিকগঞ্জে যান। ফেরার পথে মানিকগঞ্জেই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তারা।

তারেক মাসুদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে গ্রহণ করা হয়েছে নানা কর্মসূচি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের আয়োজনে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের নবম আসর। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তনে প্রথমবারের মতো তারেক মাসুদের প্রয়াণদিবস উপলক্ষে এই বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

এছাড়া শনিবার টিএসসি মিলনায়তনে সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা, বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মোট তিনটি পর্বে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়াও আগামী ২০ ও ২১ আগস্ট অঁলিয়াস ফ্রসেজ, ঢাকা এবং ২৪ ও ২৫ আগস্ট অঁলিয়াস ফ্রসেজ, চট্টগ্রামে উৎসবের পরবর্তী পর্বগুলো অনুষ্ঠিত হবে।

তারেক মাসুদ ১৯৮৫ সালের শেষ দিকে বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানকে নিয়ে নির্মাণ করেন জীবনের প্রথম প্রামাণ্যচিত্র ‘আদম সুরত’। এরপর ১৯৯৫ সালে নির্মাণ করেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসনির্ভর দু’টি প্রামাণ্যচিত্র ‘মুক্তির গান’ ও ‘মুক্তির কথা’।

তিনি ২০০২ সালে নির্মাণ করেন প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘মাটির ময়না’। মুক্তিযুদ্ধ আশ্রিত নান্দনিক এই সিনেমা কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হওয়ার পাশাপাশি জিতে নেয় সমালোচক পুরস্কার। এরপর তারেক মাসুদ ২০০৬ সালে নির্মাণ করেন ‘অন্তর্যাত্রা’। সর্বশেষ নির্মাণ করেন ‘রানওয়ে’ ছবিটি। প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নতুন ছবি ‘কাগজের ফুল’ নির্মাণের। এ ছাড়াও তারেক মাসুদের উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হচ্ছে- ‘সোনার বেড়ি’, ‘একুশে’ ও ‘নরসুন্দর’।

অন্যদিকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিশুক মুনির শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনির চৌধুরীর ছেলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের পাঠ চুকিয়ে ওই বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। চিত্রগ্রাহক ও সম্প্রচার সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মিশুক মুনীর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিবিসি’র হয়ে কাজ করেন। একুশে টেলিভিশন চালু হলে এ অঙ্গনের অন্যতম যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে তিনিই দায়িত্ব পান সংবাদ বিভাগ পরিচালনার।

(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিনোদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :