দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া মহাসড়ক যেন মৃত্যু ফাঁদ!

এম. মনিরুজ্জামান, রাজবাড়ী
 | প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট ২০১৭, ০৯:২৭

দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া মহাসড়কের রাজবাড়ী জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে সড়কটি যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই এসব স্থানে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। অথচ দীর্ঘদিনেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

গত এক বছরে এই মহাসড়কের রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ, কল্যাণপুর ও বড়পুল এলাকায় বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে কল্যাণপুরে এবং রাজবাড়ীর পৌর এলাকার বড়পুল থেকে মুরগির ফার্ম পর্যন্ত সড়কে পিচ কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানা খন্দের। এ গর্তগুলো দেখলে মনে হয় একেক একটি বড় বড় জলাশয়। এ যেন সড়ক নয়, মরণ ফাঁদ। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের এসব খানাখন্দ পানিতে ভরে গিয়ে বিঘœ ঘটে যান চলাচলে। তবে নিশ্চিত বিপদ জেনেও বাধ্য হয়েই এই পথে চলাচল করছে ভুক্তভোগীরা।

এছাড়া দুর্ঘটনা এড়াতে মহাসড়কটিতে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। ফলে সময়ও বেশি লাগছে।

রিকশাচালক ফরিদ জানান, সড়কের খারাপ অবস্থার কারণে রিকশায় যাত্রী নিয়ে এই পথটুকু পার হতেই অনেক ভয় লাগে। রাস্তায় বড় বড় গর্তগুলো বৃষ্টির পানিতে ভরে থাকায় প্রায়ই রিকশা উল্টে যায়। এমনকি পাশ দিয়ে দূরপাল্লার গাড়ি গেলে রাস্তার পচা পানিগুলো ছিটে শরীর ভরে যায়।

মিজানুর রহমান গোলাপ নামের এক মোটরসাইকেল চালক জানান, বড়পুল থেকে মুরগির ফার্ম যেতেই ভয় লাগে। কখন যেন পানিতে ডোবা বড় গর্তে পড়ে যাই।

অন্যদিকে, টানা বর্ষণে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ঘাট থেকে বসন্তপুর স্টেশন বাজার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার এলাকা। সরেজমিন দেখা যায়, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বসন্তপুর স্টেশন বাজার থেকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়কের একেবারে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অত্যন্ত ব্যস্ত মহাসড়কের এই ১৬ কিলোমিটার এলাকায় শত শত খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বসন্তপুর রেল-ক্রসিং এলাকার অবস্থা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বড় বড় খানাখন্দের কারণে রেল ক্রসিং এলাকাটিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও গাড়ি চালকদের, প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

গত ঈদুল ফিতরের আগে মহাসড়কে কার্পেটিংয়ের কাজ করলেও বৃষ্টির কারণে মাত্র এক মাস যেতে না যেতেই অত্যন্ত বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। মহাসড়কের বেহাল অবস্থার কারণে যানবাহন চলাচলে দূরাবস্থা এবং যাত্রী দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন যানবাহনের চালক ও সাধারণ যাত্রীরা। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন যাত্রী ও গাড়িচালকরা।

এ ব্যাপারে জানতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) রাজবাড়ী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, এ রাস্তার স্টিমেড হয়ে গেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই টেন্ডার ও কাজ শুরু হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :